তামিমের কণ্ঠে আরো কিছু রানের আফসোস

অর্ধশত টেস্টের ক্যারিয়ারে সমালোচনার ঝড় কম সহ্য করেননি তামিম ইকবাল। নানা সময়ে বেদনায় মুষড়েও পড়েছেন তিনি। কিন্তু হাল ছাড়েননি কখনো। বরং প্রতিবারের ঝড় মোকাবেলা করতে নিজেকে ছাড়িয়ে গেছেন ব্যাট হাতে। ইনিংসের পর ইনিংসে ছুঁয়েছেন বড় বড় রান। এতো ঝড় সামলানো তামিম অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিন শেষের সংবাদ সম্মেলনে এলেন চোখে-মুখে বিষাদের জলছাপ নিয়ে। যেনো সব হারিয়ে সদ্যই এলেন। সংবাদ সম্মেলনে তামিমের কণ্ঠে শোনা গেলে আফসোসের কথা। আফসোসটা আরো কিছু রানের জন্য।

প্রথম ইনিংসে ২৬০ রান করে ফেলার পর লিড পাওয়ার আশাটা নিশ্চয় ছিলো না তামিমদের। তারপরও সাকিব আল হাসান ও মেহেদি হাসান মিরাজের দারুণ বোলিং এনে দেয় ৪৩ রানের লিড। সেই লিডের উপর দাঁড়িয়ে অস্ট্রেলিয়াকে অন্তত ৩০০ রানের লক্ষ্য বেধে দেয়ার পরিকল্পনা ছিলো বাংলাদেশের। তা হয়নি। অস্ট্রেলিয়ার সামনে দাঁড় করানো গেছে মোটে ২৬৫ রানের লক্ষ্য। তৃতীয় দিন শেষে যা কমে দাঁড়িয়েছে ১৫৬ রানে।

অথচ সুযোগ ছিলো। কখনো দুর্ভাগ্যের ফেরে পড়ে, কখনো বড় শট খেলার বিলাসিতা বাংলাদেশকে এগোতে দেয়নি। অস্ট্রেলিয়াকে তাই বড় লক্ষ্যের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়া যায়নি। যা আসলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ থেকে আপাতত বেশ দূরে ঠেলে দিয়েছে বাংলাদেশকে।

দিন শেষের সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলেন, ‘দুদিন আগে হলেও ২৬০ রানকে হয়তো যথেষ্ট বলতে পারতাম। কিন্তু আজ তো আমাদের সামনে সুযোগ ছিলো। ৩০০ রানের একটা লক্ষ্য আমরা বেধে দিতে পারতামই। কিন্তু তা হয়নি।’

তামিমের কণ্ঠে হতাশা ভর করলেও তিনি আসলে হতাশায় সব ছেড় দিতে নারাজ। বরং মিরপুরের ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ উইকেট থেকে এখনো কিছু পাওয়ার আশাটা জিইয়ে রাখতে চান বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান, ‘মিরপুরের বর্তমান উইকেটটা খুবই অনিশ্চিত। কখন কী হবে তা আগে থেকে বলে দেয়া মুশকিল। এই উইকেটে কী হতে পারে, তা কেউ জানে না।’

এই কথা বলে তামিম আসলে বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনাটাই প্রকাশ করতে চেয়েছেন। কিন্তু আসলে সেটা কতোটুকু সম্ভব, কে জানে!

বাংলাদেশের অবশ্য আশা থাকছেই। এই টেস্টের আগে দেশের মাটিতে সর্বশেষ টেস্টে ইংল্যান্ডের ১০ উইকেট এক সেশনেই তুলে নিয়েছিলেন মিরাজরা। ১০০ রানেও কোনো উইকেট না হারানো ইংল্যান্ড অলাউট হয়ে গেছিলো মাত্র ১৬৪ রানে। এই ইতিহাসটা মনে রাখলে, বাংলাদেশের দর্শকরা কাল হয়তো খুশি মনেই মাঠে আসবেন!