এনামুলকে দলে নিতে বলছেন বিসিবি সভাপতি!

২০১৫ সালে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে এনামুলক বিজয়কে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দলে বিবেচনা করার জন্য নির্বাচকদের প্রতি পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপন। গতকাল সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় নাজমুল নিজেই এ দাবি করেন।

এনামুল সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন তিন বছর আগে। আর ২০১৫ সালে তিনি খেলেন এখন পর্যন্ত তার সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ম্যাচটি ছিলো টি-টোয়েন্টি। ওই ম্যাচে ৭০ বলে ৪৭ রান করেন তিনি। এরপর আর আন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচে সুযোগ মিলেনি তার।

দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থাকা এবং ঘরোয়াতেও উল্লেখযোগ্য কিছু না করতে পারা একজন ক্রিকেটারকে কিভাবে হঠাৎ করেই বিদেশ সফরের দলে নেয়া যায়, সে বিষয়ে অবশ্য কিছু বলেননি নাজমুল।

দল নির্বাচনে নির্বাচকদের প্রতি এভাবে ‘পরামর্শ’ দেয়ার কাজটাকে প্রায় অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন বিসিবি প্রধান। সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজের স্কোয়াডে মুমিনুল হককে অন্তর্ভুক্ত করা হয় তার নির্দেশনাতেই। দল ঘোষণার সময় নির্বাচকরা তাকে বাদ দিয়েছিলেন।

এর আগে, শ্রীলঙ্কা সফরের সময় টিম ম্যানেজমেন্ট মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে দ্বিতীয় টেস্টের দল থেকে বাদ দেয়ার পরও তাকে রেখে দিতে বাধ্য নাজমুলের সিদ্ধান্তের কারণেই। ওই সফরের ওয়ানডে সিরিজে মেহেদি হাসান মিরাজকে দলে নেয়ার জন্যও নির্বাচকদের নির্দেশনা দেন পাপন।

এরও আগে, গত বিপিএলের পর মেহেদি মারুফ ও শাহরিয়ার নাফীসকে দলে নিতে বলেন তিনি। গত বছর ইংল্যান্ড সিরিজের আগে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে হঠাৎ করে ফেরানো হয় মোশাররফ হোসেন রুবেলকে। তাকে ফেরানোর উদ্যোগও ছিলো নাজমুল হাসানেরই।

এখন হঠাৎ করে বিজয়কে দলে নেয়ার পক্ষে মত দিয়ে পাপন জানান যে, বাংলাদেশ দলের টপঅর্ডারে ডানহাতি-বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের কম্বিনেশনের কথা চিন্তা করেই বিজয়কে নেয়ার কথা বলেছেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘ইমরুল যদি ভালো কিছু করতে পারতো, তাহলে আমরা সৌম্যর পরিবর্তে তাকে চিন্তা করতাম। কিন্তু তা হয়নি। ফলে আমাদের অন্য চিন্তা করতে হচ্ছে। আমি এরই মধ্যে তার নাম সুপারিশ করেছি। আশা করি নির্বাচকরা তাকে বিবেচনা করবেন।’

এনামুল এর আগে চারটি টেস্ট খেলেছেন। চার টেস্টের আট ইনিংসে তার সর্বোচ্চ রান ২২! দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে বিজয়ের পারফর্ম কখনোই তেমন আশাজাগানিয়া নয়। তারপরও ঠিক কোন দিক বিবেচনা করে তাকে হঠাৎ করেই দলে নেয়ার কথা বললেন বোর্ড প্রধান, তা অনেকের কাছেই বোধগম্য নয়।