বৃষ্টিতে শেষ চতুর্থ দিন, ড্রয়ের পথে প্রথম টেস্ট

চতুর্থ দিনের শেষ সেশনটা ভেসে গেলো বৃষ্টিতে। পচেফস্ট্রুমে বৃষ্টির শঙ্কা আছে সোমবার দুপুরের পর পর্যন্ত। সে হিসেবে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম টেস্টটি হয়তো যাচ্ছে ড্রর দিকেই।

চতুর্থ দিন দ্বিতীয় সেশন শেষে বাংলাদেশের স্কোর ছিলো তিন উইকেটে ৪৯ রান। ১৫ ওভার তিন বলে এই রান করেন মুশফিকরা। রানের খাতা খুলতে পারেননি তামিম ইকবাল ও মুমিনুল হক। এরপর ইমরুল কায়েস আউট হয়েছেন ৩২ রান করে।

শেষ ইনিংসে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য ৪২৪ রান। আপাত দৃষ্টিতে এই রান করা অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছে। টেস্ট বাঁচাতে তাই ম্যাচের বাকিটা সময় ব্যাটিং করে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই মুশফিকদের সামনে। সেই কাজটাও কতোটা পারবেন তারা, তা নিয়ে সন্দেহ করা যাচ্ছে এখনই।

নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৫ ওভার তিন বলে তিন উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তুলেছে ৪৯ রান। কোনো রানই করতে পারেননি তামিম ইকবাল ও মুমিনুল হক। ইমরুল কায়েস আউট হয়েছেন ৩২ রান করে। উইকেটে ১৬ রান করে অপরাজিত আছেন মুশফিকুর রহিম।

এর আগে ডিন এলগারের ১৯৯ ও হাশিম আমলার ১৩৭ রানে ভর করে ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৪৯৬ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ৩২০ রান করে। অর্থাৎ শেষ ইনিংসে মুশফিকদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪২৪।

ম্যাচের এখন যা পরিস্থিতি, তাতে বৃষ্টি মুশফিকদের জন্য স্বস্তিরই ব্যাপার। এখন যতো বেশি সময় বৃষ্টি হবে, ম্যাচটা ড্র হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ততো বাড়বে। পারফর্ম্যান্স দিয়ে যখন বাঁচানোর সুযোগ কম, তখন বৃষ্টিতে স্বস্তি পাওয়া ছাড়া আর উপায়ও নেই। যদিও এই স্বস্তি আসলে কতোটা স্বস্তিদায়ক, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকবেই!

দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে এর আগে ১০টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। তার মধ্যে হারতে হয়েছে আটটিই। বাকি দুটি ম্যাচ ড্র হয়েছে বৃষ্টির কারণে। দুই দলের একাদশতম ম্যাচের পরিণতিও হয়তো তাই হবে।