‘আত্মবিশ্বাসী’ আর্জেন্টিনা কি পারবে ইকুয়েডর বাঁধা পেরুতে?

বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম পরাশক্তি আর্জেন্টিনার সামনে আত্মবিশ্বাসী শব্দটাকে কোড-আনকোড করতেই হলো। মেসি, হিগুয়েন, অ্যাগুয়েরো, দিবালাদের নিয়ে গঠিত এই এই আর্জেন্টিনার আক্রমণভাগকে বলা হয় বিশ্বের সবচাইতে শক্তিশালী বিভাগ। কিন্তু বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে মেসিরা যেন খেলছেন নিজেদের ছায়া হয়ে। কাজেই কোচ যতোই বলুক আর্জেন্টিনা আত্মবিশ্বাসী। কোচের সেই কথাকে কোড-আনকোড করতেই হচ্ছে।

গত বিশ্বকাপে সেমি-ফাইনালে জয়ের পর আর্জেন্টিনা দল...

আর্জেন্টাইন কোচ হোর্হে সাম্পাওলি বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব থেকে বিদায় নেয়ার ঝুঁকিতে থাকা আর্জেন্টিনা দলের ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের আগে আর্জেন্টাইন কোচ বলেন, 'জয়-পরাজয় আমাদের উপর নির্ভর করছে। কোচ হিসেবে আমি আত্মবিশ্বাসী। দল যদি দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গে খেলে যেমনটা পেরুর বিপক্ষে খেলেছিল তাহলে আর্জেন্টিনা রাশিয়া বিশ্বকাপে যাচ্ছে।'

তবে মেসিদের জন্য সুখবর হলো ইকুয়েডর আগেই বিশ্বকাপে ওঠার লড়াই থেকে ছিটকে পড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের রেকর্ডও ভালো না। বাছাইপর্বে নিজেদের শেষ পাঁচ ম্যাচ হেরেছে ইকুয়েডর। তবে মেসিদেরও ভয় আছে। মেসিদের খেলতে হবে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২ হাজার ৮০০ মিটার উচ্চতায় কিটোতে। এতো উঁচুতে খেলাটা বাইরের যেকোন দেশের জন্য কষ্টকর। রেকর্ড অনুযায়ী, ২০০১ সালের পর থেকে ইকুয়েডরের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে জয়ের কোন রেকর্ড নেই আর্জেন্টিনার।

সাম্পাওলি অবশ্য বলছেন, 'প্রয়োজনের মুহূর্তে ঘুরে দাঁড়াবেন মেসি-মাসচেরানোরা। দলের সবাই জেতার জন্যই খেলবে। দলের সবাই জেতার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। বিষয়টি আমাকে আলোড়িত করেছে। আর্জেন্টিনা দল হিসেবে তাদের সর্বোচ্চটা দেয়ার চেষ্টা করবে।'

বিশ্বকাপে থাকবেতো আকাশি-সাদার কাঁপন...

রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে আজকের ম্যাচের জেতার কোন বিকল্প নেই এই গ্রহের অন্যতম সেরা ফুটবলার মেসি বাহিনীর। ইতোমধ্যে মেসি বাহিনী ফুটবল যুদ্ধে নামতে পৌঁছে গেছে ইকুয়েডরে।

১৯৭০ সালের পর প্রথম বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে না উঠতে পারার শঙ্কায় পড়েছে দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আকাশি সাদার কাঁপন তোলা আর্জেন্টিনা। কোচ অবশ্য ম্যাচটি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। আর্জেন্টাইন কোচ হোর্হে সাম্পাওলি মনে করেন মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি থেকেই আর্জেন্টিনা ঘুরে দাঁড়াবে।

বুধবার ভোরে রাশিয়া বিশ্বকাপের টিকিট প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে কঠিন লড়াইয়ে নামবে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের দলগুলো। বাছাইপর্বে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ব্রাজিল। দ্বিতীয় স্থানে থাকা উরুগুয়ের পয়েন্ট ২৮। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান নিয়ে লড়াই করছে চিলি, কলম্বিয়া, পেরু ও আর্জেন্টিনা। এই অঞ্চল থেকে প্রথম চারটি দল সরাসরি খেলবে ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে। পঞ্চম দলটিকে প্লে-অফ খেলে জিততে হবে ওশিয়ানিয়া অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে।