পাকিস্তানকে উড়িয়ে লঙ্কানদের সিরিজ জয়

প্রথম টেস্টে মাত্র ১৩৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ২১ রানে হেরেছিলো পাকিস্তান। এবার লক্ষ্যটা ছিলো বড়— ৩১৭ রান। পাকিস্তান করতে পারলো মোটে ২৪৮ রান। অর্থাৎ টানা দ্বিতীয় ম্যাচে তারা টেস্ট হেরে গেছে শ্রীলঙ্কার কাছে। পরপর দুই টেস্টে পাকিস্তানকে রীতিমত উড়িয়ে দিয়ে সিরিজ জিতলো শ্রীলঙ্কা।

৩১৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫২ রানেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিলো পাকিস্তান। তখন মনে হয়েছিলো এই টেস্টে করুণ হারই বরণ করতে হবে তাদের। কিন্তু ষষ্ট উইকেটে ১৭৩ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানের জয়ের আশাটা বড় করে তুলেন অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ ও আসাদ শফিক।

কিন্তু ব্যক্তিগত ৬৮ রানে সরফরাজের বিদায়ের পর জুটিটা ভেঙে যায়; পাকিস্তানের স্বপ্নের বেলুনটাও যায় চুপসে। শেষ পাঁচ উইকেটে পাকিস্তান তুলেছে মাত্র ২৩ রান। যা ২-০ ব্যবধানে নিশ্চিত করেছে লঙ্কানদের সিরিজ জয়।

দুবাইয়ে অনুষ্ঠেয় এই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৪৮২ রান করে শ্রীলঙ্কা। ওপেনার দিমুথ করুনারত্নের ১৯৬ রানে ভর করে রানের পাহাড় গড়ে তারা। জবাব দিতে নেমে পাকিস্তান ২৬২ রানে। অর্থৎ প্রথম ইনিংস শেষেই বড় রানের লিড পায়। যার ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়াহাব রিয়াজ ও হারিস সোহাইলের বোলিং তোপে পড়ে ৯৬ রানে অলআউট হয়েও বড় পুঁজি পায় শ্রীলঙ্কা।

যে পুঁজি তাড়া করতে নেমে দিলরুয়ান পেরেরার স্পিনের সামনে নুইয়ে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন। দিলরুয়ান পাঁচটি উইকেট নেন। পেরেরা প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন তিন উইকেট। ম্যাচে মোট আটটি উইকেট নেন তিনি। ম্যাচে আট উইকেট নিয়েছেন ইয়াসির শাহও। প্রথম ইনিংসে তার শিকার ছিলো ছয়টি। পরের ইনিংসে দুটি উইকেট নেন এই লেগ স্পিনার। কিন্তু দুর্ভাগ্য ইয়াসিরের, দারুণ বোলিং করেও পরাজিত দলেই থাকতে হচ্ছে তাকে।

মিসবাহ উল হক ও ইউনিস খানের অবসরের পর এই প্রথম টেস্ট সিরিজ খেললো পাকিস্তান এবং হতে হলো হোয়াইটওয়াশের শিকার। অভিজ্ঞ দুই ব্যাটসম্যানকে হারানোর পর পাকিস্তানের ঘুরে দাঁড়াতে যে বহু সময় লেগে যাবে, সে আশঙ্কা আগে থেকেই ছিলো।

পক্ষান্তরে এই সিরিজে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে কুমার সাঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়াবর্ধনের ছায়া থেকে বের হওয়ার পথে অনেকটা এগিয়ে গেলো শ্রীলঙ্কা। যা নিশ্চিতাভাবেই ওয়ানডে সিরিজে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিবে তাদের।

দুই দলের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে ১৩ অক্টোবর থেকে, দুবাইয়ে। পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের পরের দুই ম্যাচ হবে আবুধাবিতে, ১৬ ও ১৮ অক্টোবর। এরপর ২০ ও ২২ অক্টোবর সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচ হবে শারজায়। ওয়ানডে সিরিজ শেষে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা একই মাসের ২৬ ও ২৭ তারিখে দুটি টি-টোয়েন্টি খেলবে আবুধাবিতে। তিন ম্যাচের শেষ টি-টোয়েন্টটি হবে ২৯ অক্টোবর, পাকিস্তানের লাহোরে। এরই মাধ্যমে ২০০৮ সালের পর প্রথমবার পাকিস্তান যাবে শ্রীলঙ্কা।