বাতিল হতে পারে দ্বিতীয় দিনের খেলা

ফতুল্লা টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা বাতিল হয়ে যেতে। প্রবল বর্ষণের কারণে প্রথম সেশনে কোনো খেলাই হয়নি। এমন কি ঢেকে রাখা উইকেটও খোলা হয়নি। বৃষ্টি হচ্ছিলো ভোর থেকেই। বেলা ১১টার আরো একবার প্রবল বৃষ্টিপাত হয়। ফলে দ্বিতীয় সেশনের খেলা নিয়েও দেখা দিয়েছে শঙ্কা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে সেই শঙ্কাটা বড় হচ্ছে আরো। দ্বিতীয় দিনের খেলা বাতিল হয়ে যাবে বলেই মনে হচ্ছে।

জুন মাসে এই প্রথম কোনো টেস্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলাদেশে। বৃষ্টি যে এই ম্যাচে বড় বাধা হয়ে উঠতে পারে, সেই আশঙ্কা আগে থেকেই ছিলো। ম্যাচের প্রথম দিনের প্রায় তিন ঘণ্টা ভেসে যায় বৃষ্টিতে। নির্ধারিত ওভারের চেয়ে ৩৪ ওভার কম খেলা হয় প্রথম দিন।

সিরিজের একমাত্র টেস্টে খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই বাংলাদেশ। প্রথম দিন শেষে কোনো উইকেট হারায়নি ভারত। ওপেনিং জুটিতেই তারা তুলেছে ফেলেছে ২৩৯ রান। যা এর মধ্যেই ভারতের সেরা পাঁচ টেস্ট ওপেনিং জুটির রেকর্ড চতুর্থ হয়ে গেছে।১৫০ রান করে অপরাজিত আছেন শিখর ধাওয়ান। তার সাথে ৮৯ রান নিয়ে আছে মুরালি বিজয়।

ম্যাচের শুরু থেকেই বিতর্ক চলছে বাংলাদেশের স্কোয়াড নিয়ে। ফতুল্লার নিষ্প্রাণ উইকেটে তিনজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার নিয়ে খেলছে বাংলাদেশ। পেসার মাত্র একজন। মুখে মুখে টেস্ট জয়ের স্বপ্নের কথা বললেও মাঠে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি। স্বপ্নের প্রতিফলন ঘটেনি দল নির্বাচনেও। আধুনিক ক্রিকেটে কোনো দলই এক পেসার নিয়ে খেলার হাস্যকর সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। অথচ বাংলাদেশ তাই করেছে। টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার ১৫ বছরে এই কাজ দুইবার করলো বাংলাদেশ। উভয়টিই গত দেড় বছরে।

এই টেস্টে বৃষ্টি যেনো আশির্বাদ হয়েই এসেছে বাংলাদেশের জন্য। যে ধরনের স্কোয়াড নিয়ে বাংলাদেশ খেলতে নেমেছে তাতে, জয় দূরে থাক। খেলে ড্র করাই কঠিন। তা ফতুল্লার উইকেট যতোই নিষ্প্রাণ হোক না কেনো। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ থাকায় মুশফিকদের নিশ্চয় খারাপ লাগছে, যদিও এটাই এই ম্যাচে বাংলাদেশের লজ্জাজনক পরিণতি থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় বলেই মনে হচ্ছে এখন!

আপনি আরো পড়তে পারেন

কাঠগড়ায় সাব্বির রহমান

বৃষ্টিতে ডুবে আছে ফতুল্লা