প্রথম বল থেকেই প্রোটিয়াদের আক্রমণের ঘোষণা মাশরাফির

আক্রমণের চেয়ে ভালো কোনো প্রতিরোধ নেই— এই কথা কে কবে প্রথম বলেছিলেন, তা হয়তো জানা সম্ভব নয়। তবে আপাতত শেষবার বললেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।

রোববার থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নামছে বাংলাদেশ দল। তার আগে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা দিয়েছেন আক্রমণের ঘোষণা। বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলের বিপক্ষে সাফল্য পাওয়ার সেরা সূত্র হলো আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলা।

মাশরাফি বলেন, ‘উপমহাদেশের যে কোনো দলের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা সফর মানেই কঠিন চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জে জেতার একটাই পথ— তাদের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলা।’

প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে স্রেফ উড়ে গেছে বাংলাদেশ। পরপর দুই ম্যাচে বিশাল ব্যবধানে হেরেছেন মুশফিকরা। ফলে অবচেতন মনে রক্ষণাত্মক ক্রিকেট খেলে বসতে পারতেন তামিম-সৌম্যরা। কিন্তু অধিনায়কের আক্রমণের ঘোষণার পর আর সে পথ নেই।

মাশরাফি বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলের বিপক্ষে রক্ষণাত্মক ক্রিকেট খেলার প্রশ্নই আসে না। আমরা যদি মনে করি যে, আমাদের দিনে আমরা ওদের হারাতে পারবো, তাহলে আমাদের সামনে সুযোগই থাকবে না। ওদের বিপক্ষে ভালো করার জন্য আক্রমণ ছাড়া কিছুই হবে না।’

বিদেশ সফরে গেলে ঘরের মাঠের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারে না বাংলাদেশ। তারপরও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং শ্রীলঙ্কা সফরে দারুণ খেলেছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু তার আগে নিউজিল্যান্ডে সুবিধা করতে পারেননি মুশফিক-মাশরাফিরা। অধিনায়কের দৃষ্টিতে এ বছরের কঠিনতম সফর হলো দক্ষিণ আফ্রিকায়।

তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ড-আয়ারল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা সফরে আমরা ভালো খেললেও নিউজিল্যান্ডে সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি। এ বছর বেশ কিছু কঠিন সিরিজ খেলতে হচ্ছে আমাদের। তবে সবচেয়ে কঠিন হলো চলতি সফরটা।’

আক্রমণের ঘোষণা দিয়ে টেস্টের ব্যর্থতা ঘুচিয়ে উঠার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন মাশরাফি। সঙ্গে এও বলেছেন যে, দলের সবাই যদি খোলা মন নিয়ে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে পারেন, তবে টেস্টের ব্যর্থতা কাটাতে না পারার কোনো কারণ নেই।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত মোট ১৭টি ম্যাচ খেলে জিতেছে মাত্র তিনটি। এর মধ্যে ছয়টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে। যার সবগুলোতেই হেরেছে বাংলাদেশ। আক্রমণের ঘোষণা দিয়ে মাশরাফিরা এবার কি জয়ের দেখা পাবেন? দেখা যাক আক্রমণের ঘোষণায় প্রোটিয়াদের কতোটা নাড়িয়ে দেয়া যায়!