হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে ভারতের দুর্দান্ত জয়

লক্ষ্য ছিলো ৩৩৮ রান। নিউজিল্যান্ড দারুণভাবে ছুটলো লক্ষ্য ছুঁতে। শেষ ওভারে গিয়ে তাদের প্রয়োজন দাঁড়ালো ১৫ রান। বোলিংয়ে এলেন জাসপ্রিত বোমরা। কী হবে এখন— কানপুরের দর্শকদের মধ্যে তখন পিনপতন নীরবতা। কারণ তখনও যে কিউইদের হাতে ছিলো চার চারটি উইকেট। চার উইকেট নিয়ে ছয় বলে ১৫ রান করা কোনো ঘটনাই নয়। কিন্তু পারলো না কিউইরা। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচের শেষ ওভার গিয়ে তারা হারলো ছয় রানে। ভারত পেলো দুর্দান্ত এক জয়।

নিউজিল্যান্ড আসলে হেরে গেছে ৪৯ ওভারেই। তখনও তাদের দরকার ছিলো ২৫ রান। ভুবনেশ্বর দিলেন ১০ রান। মানে শেষ ওভারের জন্য সম্ভাব্য বড় একটা লক্ষ্যই থাকলো কিউইদের সামনে এবং সেটা তারা আর ছুঁতে পারলো না। ভুবনেশ্বর এবং বোমরাই শেষ পর্যন্ত ঠেকিয়ে দিলেন কিউদের।

সব মিলিয়ে ৬৬৮ রানের ম্যাচটি জিতে ভারত নিশ্চিত করলো যে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দেশের মাটিতে তারা এখনো অপরাজেয়। তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিতে ভারতের মাটিতে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জয়ের খুব কাজে চলে গিয়েছিলো কিউইরা। কিন্তু সেটা হলো না।

হবে না যে— তা মোটামুটি নিশ্চিত করে দিয়েছিলেন বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা। ২০০-এর বেশি রানের জুটি গড়ার পাশাপাশি নিজেদের ইনিংসে সেঞ্চুরিও তুলে নেন এ দুজন। তাদের জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে ভারত পায় ৩৩৭ রানের পুঁজি।

এক ম্যাচ আগেই সেঞ্চুরি করেছিলেন কোহলি। যা ছিলো তার ৩১তম সেঞ্চুরি। এক ম্যাচের বিরতিতে আবার তিন অংকের জাদুকরি সংখ্যা ছুঁলেন তিনি। যার মাধ্যমে বেশ কিছু উলটপালট এসেছে রেকর্ডবুকের পাতায় পাতায়। বিরাট কোহলিই এখন অধিনায়ক হিসেবে এক বছরে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করা অধিনায়ক। আছে আরো কিছু রেকর্ড।

কোহলির কীর্তিময় ইনিংস শেষে জবাব দিতে নেমে ৪৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। এটা অবশ্য তাদের কাছে একেবারেই কোনো ধাক্কা হয়ে আসেনি। কারণ দ্বিতীয় উইকেটে ১০৯ রানে জুটি গড়ে জয়ের বিশ্বাস তৈরি করে দেন কলিন মনরো ও কেন উইলিয়ামসন।

সেই বিশ্বাসের ভিতের উপর দাঁড়িয়ে দলকে জেতাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন ৬৫ রান করা টাম ল্যাথাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলকে জয়ের বন্দরে নিতে পারেননি তিনি। ভুবনেশ্বর ও বুমরার ডেথ ওভার বোলিংয়ের সামনে নুয়ে পড়ে কিউইরা। ফল— তিন ম্যাচের সিরিজ দুই-এক ব্যাবধানে জিতে যায় ভারত।