আফ্রিদির বোলিং-তোপ, সর্বনিম্ন রানের লজ্জা এবার সিলেটের

গতকালই দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন শহিদ আফ্রিদি। এরপর আজ তিনি ঢুকে পড়েন ঢাকা ডায়নামাইটসের একাদশে। বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার খেলতে নেমেই দেখালেন তার ক্ষমতা। চার ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে তিনি তুলে নেন চার চারটি উইকেট। তার বোলিং-তোপে পড়ে এবারের বিপিএলের সর্বনিম্ন নামের লজ্জায় পড়ে যায় সিলেট সিক্সার্স। আজই যে লজ্জাটা জুটেছিলো রংপুর রাইডার্সের।

শহিদ আফ্রিদির মতো স্পিন বিষে সিলেটকে নীল করেছেন সুনিল নারিনও। চার ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়ে তিনি তুলে নেন তিন উইকেট। সিলেটের বাকি তিন উইকেটের দুটি নেন আবু হায়দার রনি। শেষ পর্যন্ত নয় উইকেটে ১০১ রান করে সিলেট সিক্সার্স। 

সিলেট প্রথম উইকেট হারায় দলীয় আট রানে। বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার রনি উপুল থারাঙ্গাকে উইকেটরক্ষক জহুরুল ইসলাম অমির ক্যাচে পরিণত করেন। তিন নম্বরে নামা সাব্বির রহমানকে ফেরান সুনিল নারিন। দলীয় ১৯ রানে আবার আঘাত হানেন রনি। এবার আন্দ্রে ফ্লেচারের বদলে আজ ওপেন করা গুনাথিলাকাকে ফেরান এই পেসার।

১৯ রানে তিন উইকেট হারিয়ে সিলেটের যখন সকরুণ অবস্থা, তখন ছক্কাবাজ রস হোয়াইটলির দিকে পরম ভরসা নিয়ে তাকিয়ে ছিলেন সিলেটের দর্শকরা। কিন্তু নারিনের দ্বিতীয় আঘাতে ফিরতে হয় তাকে।

এরপর পরপর চার উইকেট তুলে নিয়ে সিলেটকে সর্বনিম্ন রানের লজ্জায় ডোবান আফ্রিদি। তিনি একে তুলে নেন নাসির, হাসারাঙ্গা, ব্রেসনান ও নুরুল হাসানকে। ৫২ রানে আট উইকেট হারিয়ে সিলেট পড়ে যায় গভীর খাদে। এক রান পর পড়ে যায় তাদের নবম উইকেট। সিলেট থেমে যেতে পারতো সেখানেই। কিন্তু শেষ উইকেট জুটিতে ৪৮ রান যোগ করেন আবুল হাসান রাজু ও তাইজুল ইসলাম। যা বিপিএলের ইতিহাসের সেরা দশম উইকেট জুটির নতুন রেকর্ড।

এই জুটিতে ভর করেই একশর নিচে অলাআউট হওয়ার লজ্জা থেকে বাঁচে সিলেট সিক্সার্স। তাদের মোট রান দাঁড়ায় ১০১। ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন রাজু আর ১৬ রান করেন তাইজুল। 

আগের সর্বনিম্ন ছিলো রংপুরের

সিলেটের আগে এবারের সর্বনিন্ম রানের লজ্জা ছিলো রংপুর রাইডার্সের। আজই দিনের প্রথম ম্যাচে তারা ১৩৪ রানে গুটিয়ে যায়। রাজশাহী কিংসের বোলারদের সুনিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে রবি বোপারা হাফ সেঞ্চুরি করলেও রংপুর সর্বসাকুল্যে তুলে মাত্র ১৩৪ রান। যা টপকে যেতে তেমন কোনো সমস্যাই হয়নি রাজশাহীর। মুমিনুলের হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে তারা ম্যাচটি জিতে আট উইকেটে।