ঘরের মাঠে দারুণ জয়ে ঘুরে দাঁড়ালো চিটাগং ভাইকিংস

ঘরের মাঠে সিলেট সিক্সার্স যে তুমুল আলোড়ন তুলেছিলো, চিটাগং ভাইকিসংও তাই করলো। এবং সেটা সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষেই! জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে উপস্থিত হওয়া ১৫ হাজারের বেশি দর্শক দেখলো, তাদের দলটা কী দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ালো ঘরের মাঠে।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নিজেদের প্রথম ছয় ম্যাচে চিটাগংয়ের জয় ছিলো মাত্র একটি। বাকি পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই হার। একটিতে বৃষ্টির কারণে ফল আসেনি। এই দলটাই ঘরের মাঠে হয়ে গেলো দুরন্ত-দুর্বার। করে ফেললো এখন পর্যন্ত আসরের সর্বোচ্চ রান— ২১১। যা তাড়া করতে নেমে সিলেট গুটিয়ে যায় ১৭১ রানে। অর্থাৎ চিটাগং ঘরের মাঠে পায় ৪০ রানের বড় জয়।

চট্টগ্রামের এই জয়ের চিত্রনাট্য অবশ্য লেখা হয়ে গিয়েছিলো আগেই। টস জিতে নাসির হোসেন, সিলেট সিক্সার্সের অধিনায়ক নিয়েছিলেন আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত। নাসিরের এই সিদ্ধান্তই যেনো ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় সিলেটকে।

চিটাগংয়ের ওপেনার ও অধিনায়ক লুক রঙ্কি শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে জাগিয়ে তুলেন ম্যাচ। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে সৌম্যর আউটের আগে ওপেনিংয়ে ২৬ রান তুলে চিটাগং। এর মধ্যে ২৫ রানই করেন রঙ্কি। সৌম্য ফেরেন এক রান করে।

তিন নম্বরে নামা এনামুল হক বিজয় টিকে ছিলেন মাত্র চার বল। করেন তিন রান। এরপরও অবশ্য চিটাগংয়ের রানের চাকা থামেনি। চার নম্বরে নামা স্টিয়ান ফন জিল ২৬ বলে করে যান ৪০ রান। রঙ্কি ও ফন জিলের ঝড়ে কথা ভুলতে অবশ্য বেশিক্ষণ লাগেনি জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের দর্শকদের। কারণ তাদের চেয়েও বড় ঝড় যে এ দিন তুলেছেন সিকান্দার রাজা।

৪৫ বলে ৯৫ রান করেন তিনি। যা এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ড। তার এই ইনিংসে ভর করেই মূলত প্রথম ইনিংস শেষেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় স্বাগতিক দলের হাতে।
জবাব দিতে নেমে আন্দ্রে ফ্লেচারের রুদ্ররূপে ভর দিয়ে চার ওভার এক বলে ৪৩ রান তুলে ফেলে সিলেট। ১৩ ওভার তিন বলে তাদের হয়ে যায় ১২৩ রান। এর মধ্যে তারা হারায় সব মিলিয়ে দুই উইকেট। মানে সর্বোচ্চ রানের চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়েও সিলেট ছুটছিলো দুরন্ত গতিতে।

সেই গতি রোধ করে দেন আন্দ্রে ফ্লেচারকে আউট করা তাসকিন আহমেদ। ১২৩ রান থেকে ১৩১ রান পর্যন্ত যেতে যেতে চার উইকেট হারিয়ে বসে সিলেট। ম্যাচ থেকে তাদের বিদায়টা সুনিশ্চিত হয়ে যায় তখনই। এরপর যতো সময় গেছে, সিলেটের আরো একটা পরাজয়ের গল্পই কেবল লেখা হয়েছে।

শেষ পর্যন্ত সিলেটের ইনিংস শেষ হয় ১৭১ রানে। ৪০ রানে হারতে হয় সিলেট সিক্সার্সকে। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৭১ রান আসে আন্দ্রে ফ্লেচারের ব্যাট থেকে। ৪১ রান করেন বাবর আজম। চিটাগংয়ের হয়ে তিনটি উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। দুটি করে উইকেট নেন সৌম্য সরকার ও স্টিয়ান ফন জিল।