উইকেট নিয়ে অন্ধকারে চান্দিমাল

বৃহস্পতিবারের ম্যাচটা শ্রীলঙ্কার জন্য এমন, যেখানে হেরেও জিততে পারে তারা! ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের বিপক্ষে এই ম্যাচটিতে যদি তারা খুব বড় কোনো ব্যবধানে না হারে, তাহলে ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হবে তারাই। লঙ্কানদের হেরেও জেতার রহস্য এখানেই! এমন এক ম্যাচের আগে উইকেট নিয়ে অন্ধকারেই থাকলেন লঙ্কান অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমাল।

বুধবার বাংলাদেশ দল হোটেলে ছুটির আমেজে থাকলেও, শ্রীলঙ্কার ছিলো কঠোর অনুশীলন। অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন চান্দিমাল। তার আগে দীর্ঘ সময় নিয়ে শেরে বাংলার উইকেট দেখায় ব্যস্ত ছিলেন তিনি। সংবাদ মাধ্যমের সামনে এসে অনুমিতভাবেই উইকেট নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি।

জবাবে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের অনুপস্থিতিতে লঙ্কানদের নেতৃত্বে থাকা চান্দিমাল বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে আমরা জানি না কোন উইকেটে এবং কেমন উইকেটে খেলা হবে। আমি, কোচ এবং ম্যানেজার মিলে উইকেট দেখেছি। দুই থেকে তিনটা উইকেট প্রস্তুত করা হচ্ছে। আমি জানি না কেনো তারা এতো জটিল!’

ম্যাচটা যেহেতু বাংলাদেশে হচ্ছে, সেহেতু স্বাগতিক হিসেবে বাংলাদেশ উইকেটের সর্বোচ্চ সুবিধা নিবে, এটা তো স্বাভাবিকই। লঙ্কানদের বিপক্ষে সুবিধা নেয়ার ধরনটা একটু জটিল হচ্ছে, সেটাও স্বাভাবিক। কারণ ঢাকার উইকেট সম্পর্কে শ্রীলঙ্কার প্রায় পুরো স্কোয়াডেরই খুব ভালো ধারণা আছে। এ ছাড়া তাদের কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহের কাছেও শেরে বাংলার উইকেট হাতের তালুর মতো চেনা।

সুতরাং তাদের বিপক্ষে উইকেট নিয়ে যে রহস্য সৃষ্টি করা হয়েছে, তা হয়তো লঙ্কানদের জন্য একেবারে অপ্রত্যাশিত ব্যাপার নয়। পক্ষান্তরে উইকেট নিয়ে তৈরি রহস্যকে চান্দিমাল যে স্বাগতিকদের জটিলতা হিসেবে দেখেছেন, এটাও বোধহয় স্বাগতিকদের কাছে প্রত্যাশিত!

উইকেট নিয়ে দ্বিধা-সংশয় ও অন্ধকারে থাকার সময়ে চান্দিমালকে দুশ্চিন্তা করতে হচ্ছে একাদশ তৈরি নিয়েও। কারণ ওয়ানডেতে তাদের নিয়মিত দুই সদস্যের মধ্যে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ইনজুরির কারণে ছিটকে গেছেন আগেই। অনিশ্চয়তা আছে এই সিরিজে দারুণ খেলা কুসাল পেরেরাকে নিয়েও।

‘গত দুই বছর ধরে ইনজুরিই আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা। মাঝে মাঝে এ কারণে একাদশ সাজাতে গিয়েও আমাদের সঙ্কটে পড়তে হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তা আছে। আশা করি ছেলেরা আরো ফিট ও আগ্রহী হয়ে মাঠে নামবে।’ চোটজর্জরতা নিয়ে বলেন চান্দিমাল।

বৃহস্পতিবারের ম্যাচে শ্রীলঙ্কা যদি জিতে যায়, তাহলে ২৭ তারিখের ফাইনালে তারাই হবে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ। আর যদি হারে এবং রান রেটে জিম্বাবুয়ের চেয়ে এগিয়ে থাকে, তাহলেও ফাইনাল খেলবে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু বাংলাদেশের কাছে হারের পর তাদের রানরেট যদি জিম্বাবুয়ের চেয়ে কমে যায়, তাহলে লঙ্কানদের ফিরতে হবে ফাইনাল না খেলেই।

এক দিকে ফাইনাল-স্বপ্ন, অন্য দিকে বাদ পড়ার দুশ্চিন্তা; সঙ্গে চোটজর্জরতা এবং উইকেট নিয়ে অন্ধকার। বৃহস্পতিবারের ম্যাচের আগে চান্দিমালের দুশ্চিন্তার মাত্রাটা নিশ্চয় টের পাওয়া যাচ্ছে এতেই!