ফাইনাল নয়, কিন্তু ফাইনালের গুরুত্বই দিচ্ছেন মাহমুদ

জয় নাকি সব সময় জয়ের ক্ষুধাটাই আরো বাড়িয়ে দেয়। বহু শোনা এই কথাটা প্রমাণও করেছেন অনেকে। আরেকবার করলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। বাংলাদেশ দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর বুধবার টিম হোটেলে মুখোমুখি হয়েছিলেন সংবাদ মাধ্যমের। সেখানে তিনি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমাদের কালকের (বৃহস্পতিবার) ম্যাচটা হয়তো ফাইনাল নয়, কিন্তু আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি তেমনই।’

ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিলো আট উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। পরের ম্যাচে বাংলাদেশ জিতে ১৬৩ রানে। এরপর আবার ৯১ রানের জয়। টানা তিন জয়ের পরও মাহমুদের কণ্ঠে শোনা গেলো আরো জয় এবং আর সাফল্যের আশাবাদ।

বুধবার অনুশীলন ছিলো না বাংলাদেশের। খেলোয়াড়রা কিছুটা ছুটির আমেজে ছিলেন টিম হোটেলে। টানা ক্রিকেট থেকে একটু দূরে থাকতেই এ দিন অনুশীলনের কোনো সূচি রাখেননি মাহমুদ। তিন জয়ে কি একটু আয়েশই ভর করেছে বাংলাদেশ দলে— এমন প্রশ্ন করা হয়েছিলো মাহমুদকে।

উত্তরে সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আমরা কিন্তু এখনো চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাইনি। সুতরাং আয়েশ করারও সুযোগ নেই। গতকাল (মঙ্গলবার) আমরা একটা ম্যাচ খেলেছি, আবার কাল (বৃহস্পতিবার) খেলবো। এরপর ২৭ তারিখ ফাইনাল। মানে বিশ্রামের কোনো সুযোগই আমরা পেতাম না। তাই একটা দিন ক্রিকেট থেকে ছেলেদের দূরে রাখতে চেয়েছি। আমার মনে হয় না এটা আয়েশের মতো কোনো কিছু।’

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সময়টা যাচ্ছে দুর্দান্ত। এটা শুধু ত্রিদেশীয় সিরিজের ব্যাপার নয়, বরং গত তিন বছর ধরেই ওয়ানডেতে চলছে বাংলাদেশের দৃপ্ত পদচারণা। বাংলাদেশকে প্রায়ই ওয়ানডের ‘বড় দল’ বলা হচ্ছে আজকাল। কিন্তু মাহমুদ মনে করেন, বড় দল হয়ে উঠতে হলে যে সক্ষমতা ও দাপুটে ভাবমূর্তি দরকার, তা এখনো পায়নি বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, ‘আমি আসলে এখনো সন্তুষ্ট নই। বড় দল হতে অনেক গুণ লাগে। সেটা কিন্তু আমরা নিজেরা জানি। এগুলো নিয়ে আমরা কথাও বলি। আমার বিশ্বাস আমাদের দলে এমন কয়েকজন ক্রিকেটার আছে, যারা বাংলাদেশকে বড় দল হিসেবে প্রমাণ করতে পারবে। আমি বিশ্বাস করি, সব ধরনের পরিস্থিতি সামাল দেয়ার মতো অবস্থায় গেলে আমরা বড় দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবো।’