তামিমের আক্রমণ পূর্বপরিকল্পিতই ছিলো

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই টানা তিন চার। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট যে ব্যাটসম্যানদের জন্য বরমাল্য নিয়ে অপেক্ষা করছে, সেটাই যেনো বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু ওই ব্যাটিং তো ঠিক টেস্ট ক্রিকেটীয় নয়, সেটার কী হবে? ইনিংসের শুরুতে কি দলের অন্যতম ভরসার ওভাবে ব্যাটিং করা উচিত?

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের অবস্থান বেশ শক্ত। তারপরও এমন প্রশ্ন উঠছেই। তামিম এর উত্তরও দিয়েছেন। দিন শেষের সংবাদ সম্মেলনে এসে বাংলাদেশের এক নম্বর ওপেনার জানালেন, ওই আক্রমণটা তার পূর্বপরিকল্পনারই অংশ ছিলো।

তামিম বলেন, ‘আমি পরিকল্পনা করেছিলাম ওদের সেরা বোলারদের উপর আক্রমণ করে ওদেরকে কিছুটা এলোমেলো করে দিতে। আমি সেটা সফলভাবেই করেছি। আমার মনে হয়েছিলো আমি যদি ইতিবাচক ক্রিকেট খেলি, তাহলে ওরা চাপে পড়ে যাবে। আমার মনে হয়, এর ফলেই ওরা এমন এক পরিস্থিতে পড়েছে, যেখানে ওদের আমরা দেখতে চাই।’

ঝড়ো শুরুর পর ৪৬ বলেই হাফ সেঞ্চুরি পেয়ে যান তামিম ইকবাল। মনে হচ্ছিলো ঘরের মাঠে ইনিংসটাকে আরো বহু দূর নিয়ে যাবেন তিনি। কিন্তু তা হয়নি। এ জন্য অবশ্য আফসোসের কথা নয় তামিমের। কারণ তার দেখানো পথে হেঁটেই তো মুমিনুল প্রথম করে দিয়েছেন ১৭৫ রান।

বাংলাদেশের হয়ে প্রথম দিনে এতো বেশি রান করতে পারেনি আর কেউ। মানে বাংলাদেশি হিসেবে টেস্টের প্রথম দিনে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটটা এখন মুমিনুল হকের। তার এমন ইনিংসে ভর করে দলীয় রেকর্ডও হয়েছে বাংলাদেশের। ৩৭৪ রান করে টেস্টের প্রথম দিনে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ড লিখেছেন মুমিনুল-মুশফিকরা। তামিমের পরিকল্পিত আক্রমণই নিশ্চয় এই প্রাপ্তির ভিত।