রিয়াল নয়তো পিএসজিতেই যেতে চান হ্যাজার্ড  

কয়েক বছর ধরেই তাকে ঘিরে চলছে গুঞ্জন। কখনো ইংলিশ ক্লাব কিংবা কখনো স্প্যানিশ ক্লাবের নাম জড়িয়ে। এই সময়ের ক্লাব ফুটবলের অভিজাত আরেক দল প্যারিস সেন্ট জার্মেইও (পিএসজি) তার প্রতি প্রবল আগ্রহ দেখাচ্ছে সাম্প্রতিক বছর ধরে। তিনি ইডেন হ্যাজার্ড। ২০১২ সালে লিঁল থেকে চেলসিতে আসার পর দু দণ্ড শান্তি পাচ্ছেন না। বেলজিয়ান মিডফিল্ডারের ট্রান্সফার নিয়ে কানাঘুষা চলছে প্রায় সবসময়-ই।

এবার খোদ হ্যাজার্ডই নিজের ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন। তবে একটি নয়, বেলজিয়ান সেনসেশন রাস্তা দেখিয়েছেন দুই দিকে। একটা প্যারিসের দিকে, অন্যটা মাদ্রিদের পথে। ফলে আগামী মৌসুম থেকে তাকে নাও দেখা যেতে পারে ইংলিশ ফুটবলে।

তাকে নিয়ে ইউরোপের বাঘা বাঘা ক্লাবগুলোর কেন এত আগ্রহ সেটা প্রতি মৌসুমে মাঠেই বুঝিয়ে দিচ্ছেন হ্যাজার্ড। এই মৌসুমেও চেলসির হয়ে গোল জোগান দেয়ার পাশাপাশি নিজেও লক্ষ্যভেদ করেছেন ১৫ বার। যা চেলসির হয়ে এই মৌসুমে কোনো নির্দিষ্ট খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ গোল। তাকে ছাড়ার ইচ্ছে নেই পশ্চিম লন্ডনের ক্লাবটিরও। এই মিডফিল্ডার নিজেও সুখে আছেন স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে। হ্যাজার্ড বলেছেন, ‘চেলসির সঙ্গে এখনো আমার আড়াই বছরের চুক্তি আছে। আমি যেখানে আছি ভালো আছি, সুখে আছি। যদি কোনো দিন যেতে হয় তাহলে আমি যাবো। তবে এখন আমি চেলসির হয়ে সেরাটাই দিয়ে যাবো।’

কিন্তু পেশাদার ফুটবলে কোনো খেলোয়াড়ের ভবিষ্যৎ নিশ্চয়তা দেয়া কঠিন। সেটা হ্যাজার্ডও জানেন। যদি চেলসির ছাড়তে হয় তাহলে তার সম্ভাব্য গন্তব্য কোথায় হতে পারে সেটারও একটা ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন হ্যাজার্ড। সোমবার টেলিফুটকে চেলসির মধ্য মাঠের সারথি বলেছেন, ‘তারা (রিয়াল+পিএসজি+বার্সা) অনেক গত কয়েক বছর ধরেই আমার প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে। আমরাও এটা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কথা চালিয়ে যাচ্ছি। যদি প্যারিসে না যাওয়া হয় তাহলে রিয়ালে এবং যদি রিয়ালে না যাই তাহলে প্যারিসে যেতে পারি। ফুটবলে অনেক কিছুই ঘটতে পারে। আবার নাও ঘটতে পারে।’

অবশ্য এসব কিছুকে আলাদা রেখে হ্যাজার্ড ভাবনার বৃত্তে আপাতত রেখেছেন শুধু চেলসিকে। চোখ দিচ্ছেন বিশ্বকাপের দিকে। ২৭ বছর বয়সী এ বেলজিয়ান বলেছেন, ‘আমি এখানে (চেলসিতে) আছি। সামনে আরো কিছু ম্যাচ বাকি আছে আমাদের। আমরা চেষ্টা করছি প্রতিযোগিতামূলক কিছু জিততে। এবং তারপর বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবতে হবে।’