শুরুটা ভালোই করেছিলেন তামিম, কিন্তু...

পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) শিরোপা ধরে রাখার অভিযানের শুরুটা ঠিক সুখের হলো না তামিম ইকবালের পেশোয়ার জালমির। বৃহস্পতিবার তৃতীয় আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের ৭ উইকেটে হারিয়েছে নবাগত মুলতান সুলতানস। পিএসএলে এর চেয়ে রঙিন অভিষেক উপহার পেতে পারতো না মুলতান। এই ম্যাচে শুরুটা ভালোই করেছিলেন বাংলাদেশি ওপেনার তামিম ইকবাল। কিন্তু ভালোটা ধরে রাখতে পারেননি তিনি। 

দুবাইয়ে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৫১ রানের মাঝারিমানের পুঁজি দাঁড় করায় তামিমদের পেশোয়ার। জবাব দিতে নেমে ৫ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি মুলতান।

অবশ্য তামিম প্রথম ম্যাচে মাঠে নামলেও সুযোগ হয়নি বাংলাদেশের আরেক প্রতিনিধি সাব্বির রহমানের। যিনি সাকিব আল হাসানর পরিবর্তক হিসেবে ডাক পেয়েছেন। পিএসএলে অভিষেকের জন্য অন্তত আরো এক ম্যাচ অপেক্ষা করতে হচ্ছে সাব্বিরকে। রোববার করাচি কিংসের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে তামিম-সাব্বিরের পেশোয়ার। শুক্রবার একই দলের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মোস্তাফিজুর রহমানের লাহোর কালান্দার্স মুলতান সুলতান্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে।

পেশোয়ারের ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি। ম্যাচের ১১তম বলে সাজঘরে ফিরে যান কামরান আকমাল। সঙ্গী হারানো তামিম বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১১ বলে ১১ রানে ফিরে গেছেন চতুর্থ ওভারের মাঝপথে। ইনিংসে দুটি চার হাঁকান তামিম। মোহাম্মদ ইরফানের বলে জুনাইদ খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে আসেন বাংলাদেশি ওপেনার।

২২ রানে ওপেনারদের হারানোর চাপটা সামালে উঠার আগেই ৫৭ রানে পেশোয়ারের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন ডোয়াইন স্মিথ। ২৩ বলে ২৪ রান করে ফিরেছেন তিনি। ৩টি চার ও একটি ছয় ছিল তার ইনিংসে। প্রথম ১০ ওভারে ৫৭ রান স্কোর বোর্ডে জমা করে পেশোয়ার। শেষ ১০ ওভারে ৯৪ রান তোলে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। এর মূল কাণ্ডারি মোহাম্মদ হাফিজ। ৫২ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেছেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার।

তবে বোলারদের লড়াইয়ের পূঁজিটা এসেছে ইনিংসের শেষ দিকে ড্যারেন স্যামির ব্যাটে। ১১ বলে ২৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে বিদায় নেন পেশোয়ার অধিনায়ক। তার ২টি চার ও ৩টি ছক্কার সুবাদে পেশোয়ারের দলীয় সংগ্রহ দেড়শ ছাড়িয়ে যায়। ১৫ বলে ১৪ রান যোগ হয়েছে হ্যারিস সোহেলের নামের পাশে।

এ ম্যাচের উইকেট ছিলো ব্যাটিং সহায়ক। তাই দারুণ বল করেও ম্যাচে লড়াই করতে পারেননি পেশোয়ার জালমির বোলাররা। আজম-জর্ডান-স্যামিদের বিপক্ষে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পৌঁছে যায় মুলতান।

দলীয় ৭ রানে আহমেদ শেহজাদকে হারানোর পরও জয়ের জন্য মুলতানকে বেগ পেতে হয়নি মূলত কুমার সাঙ্গাকারার ব্যাটিং দৃঢ়তায়। জয়ের ভিতটা গড়ে দিয়েছেন লঙ্কান এই কিংবদন্তিই। ৫১ বলে ৫৭ রানের ইনিংসটা সাঙ্গাকে এনে দিয়েছে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও।

১৬ বলে ২১ রানে আউট হয়েছেন শোয়েব মাকসুদ। অধিনায়ক শোয়েব মালিক ৩০ বলে ৪২ রানের অপরাজিত ঝড়ো ইনিংস উপহার দিয়েছেন দলকে। ১৩ বলে ২১ রানের ঝড় উঠেছিল কাইরেন পোল্যার্ডের ব্যাটে।

তবে দলকে লড়াইয়ে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করেও বৃথা গেছে ওয়াহাব রিয়াজ ও মোহাম্মদ আসগরের দুর্দান্ত বোলিং নৈপুণ্যে। ৪ ওভারে ১৯ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন ওয়াহাব। সমান ওভারে ১৮ রানের বিনিময়ে আসগর করেছেন একটি শিকার।