কোচদের কাজ আসলে বাবাদের কাজের মতো!

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের আপতকালীন কোচের দায়িত্ব নেয়া কোর্টনি ওয়ালশ মনে করেন, কোচদের কাজ আসলে বাবাদের কাজের মতো। আগামী ছয় মার্চ থেকে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই সিরিজেই বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।

গত অক্টোবরে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের পদ ছেড়ে দেন চান্দিকা হাথুরুসিংহে। এরপর থেকেই কোচ হিসেবে নতুন কাউকে খুঁজছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং লঙ্কানদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে কোচের দায়িত্বটা সিনিয়র খেলোয়াড় এবং সহকারী কোচ রিচার্ড হ্যালসাল ও টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের মধ্যে ভাগ করা ছিলো। কিন্তু এই উদ্যোগটি সফল হয়নি। সবগুলো সিরিজেই হেরে গেছে বাংলাদেশ।

চান্দিকার বিদায়ের পর বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফে কোর্টনি ওয়ালশও সবচেয়ে সিনিয়র এবং দলের সবার তার প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা রয়েছে। এ দিকটি বিবেচনা করেই তাকে প্রধান কোচের আপতকালীন দায়িত্ব দিয়েছে বিসিবি।

দায়িত্ব পাওয়ার পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ওয়ালশ বলেন, ‘এটা আপাতকালীন দায়িত্ব। গত কয়েকটা সিরিজ আমরা হেড কোচ ছাড়া খেলেছি। এ অবস্থায় আমাকে দায়িত্ব নিতে বলা হয়। আমি যেহেতু বাংলাদেশেই আছি, সুতরাং খুব বেশি আলোচনার দরকার হয়নি। আমি বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য আমার সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করতে চাই।’

প্রথমবারের মতো প্রধান কোচের দায়িত্ব নেয়া ওয়ালশদের প্রথম কাজ হবে তাসকিন আহমেদ, সাব্বির রহমানদের মতো ফর্মের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের পরিচর্যা নিশ্চিত করা। এ বিষয়ে ওয়ালশ বলেন, ‘আমার যে দায়িত্ব, তা অনেকটা বাবাদের দায়িত্বের মতো— তাদেরকে আত্মবিশ্বাস দেয়া। একই সঙ্গে বাজে ফর্ম থেকে ভালো ফর্মে ফেরার জন্য যে আলাদা কাজ করতে হবে, তা নিশ্চিত করাও আমার দায়িত্ব। আমাদের সবার একটা চিন্তা করতে হবে যে, দলে সবার একেকটি আলাদা দায়িত্ব আছে এবং সেটা যাতে সবাই পালন করে। এটাই হবে আমার কোচিং চিন্তার মূল কথা।’

এভাবে হঠাৎ বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নিতে হলেও খুব একটা অপ্রস্তুত ছিলেন না কোর্টনি ওয়ালশ। কারণ গত ১৮ মাস ধরে তিনি এই দলটিরই বোলিং কোচ। সুতরাং তার জন্য খেলোয়াড়দের চেনা বা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর কাজটা মোটেও কঠিন কিছু নয়।

ওয়ালশ বলেন, ‘শ্রীলঙ্কায় যে সিরিজটি আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে, তা খুব কঠিন হবে বলে মনে করছি। যারা চ্যালেঞ্জ নিতে চায়, তাদের উচিত ধারাবাহিকভাবে মানসম্পন্ন ক্রিকেট খেলা। আমি খুশি, কারণ আমাদের সামনে এমন একটা সুযোগ এসেছে। ইতিবাচক ক্রিকেট খেলার জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করবো।’

গত বছরের জানুয়ারি থেকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ পর্যন্ত বাংলাদেশ মোট নয়টি টি-টোয়েন্টি খেলে জিতেছে মাত্র একটি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এক ম্যাচে ব্যাটসম্যানরা ভালো করলেও পরের ম্যাচে দুই বিভাগেই লঙ্কানদের কাছে স্রেফ উড়ে গেছে বাংলাদেশ।