নিদাহাস ট্রফির আগে যে সংকল্পে দৃঢ় সৌম্য

তারুণ্যের দুর্দমনীয় যে রূপ দেখিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের আবির্ভাব দেখিয়েছিলেন সৌম্য সরকার, দিনে দিনে তা ম্লান হয়ে গেছে অনেকটাই। শুরুর কিছু দিনের মধ্যে তিন ফরম্যাটেই জাতীয় দলে থিতু হন সৌম্য। কিন্তু ব্যাটে দেখায় দেয় ভাটার টান। ফলে এক এক করে দুই ফরম্যাটে জায়গা হারান তিনি। কিন্তু নিদাহাস ট্রফির আগে সৌম্য সংকল্প করেছেন পুরোনো রূপে ফেরার। শুক্রবার বিকেলে অনুশীলনের ফাঁকে তাই বললেন তিনি।

স্বাধীনতার ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে নিদাহাস ট্রফি নামের ত্রিদেশীয় আসর শুরু হতে যাচ্ছে ছয় মার্চ থেকে। সেখানে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা ও ভারতের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। তার আগে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে অনুশীলন। কোর্টনি ওয়ালশের প্রধান কোচ হিসেবে অভিষেকের দিনে অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন সৌম্য।

এ সময় টি-টোয়েন্টিতে ভালো করে অন্য দুই ফরম্যাটেও ফেরার আশার কথা ব্যক্ত করেন এই ওপেনার। সৌম্য বলেন, ‘আসলে অন্য দুই ফরম্যাটে ফিরবো নাকি ফিরবো না, তা নিয়ে ভাবছি না। এখন শুধু টি-টোয়েন্টি নিয়েই চিন্তা করছি। এই ফরম্যাটে যদি ভালো করতে পারি আর নির্বাচকরা যদি মনে করেন, এই পারফর্ম অন্য দুই ফরম্যাটেও উপযুক্ত, তাহলে ভালোই হবে। আমার আপাতত ইচ্ছে হলো নিদাহাস ট্রফিতে ভালো কিছু করে নিজেকে প্রমাণ করা।’

সৌম্যর অবশ্য নিজেকে প্রমাণ করার খুব বেশি কিছু নেই। তার অভাব কেবল ধারাবাহিকতা ধরে রাখা নিয়ে। দুটো ব্যাপারই দেখা গেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজে। সেখানে প্রথম ম্যাচেই হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। যা এখন পর্যন্ত তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি ইনিংস। কিন্তু পরের ম্যাচে কোনো রান না করেই উইকেট হারান সৌম্য। ভালো ব্যাটসম্যান, কিন্তু ধারাবাহিকতার অভাব; দুটি ব্যাপারই প্রমাণ হয়েছে সেই সিরিজে।

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে অন্তত ৫০০ রান করছেন, এমন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সৌম্যর স্ট্রাইকরেট সবচেয়ে ভালো (১২৯.১৩)। কিন্তু ৫০০-এর বেশি রান করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তার গড় সবচেয়ে খারাপের তালিকায় দ্বিতীয়। ব্যাটসম্যান সৌম্যর সমস্যা ধরা যায় এই তথ্যেই। কিন্তু এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে বদ্ধপরিকর এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

তিনি বলেন, ‘যখনই মাঠে নামি, চেষ্টা থাকে ভালো কিছু করার। এবারও তেমনই ইচ্ছে আছে। ভালো কিছু করতে চাই। শ্রীলঙ্কায় অন্তত চারটি ম্যাচ পাবো আমরা। ব্যক্তিগতভাবে প্রথম ম্যাচ থেকেই ভালো শুরুর চেষ্টা করবো।’

সৌম্যর ভালো শুরু মানে, বাংলাদশেরও ভালো শুরু। সুতরাং তার ভালো কিছু করার সংকল্প যাতে কেবলই সংকল্প হয়ে না থাকে, সেই প্রার্থনা নিশ্চয় পুরো বাংলাদেশ দলই করবে!