একটা মাত্র জয়, তারপরই মুক্তি বাংলাদেশের!

উড়তে থাকা একটা পাখি যখন হঠাৎ করেই বন্দি হয়ে পড়ে ছোট্ট খাঁচায়, তার কেমন লাগে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে পাখির মন বোঝার মেশিনের দরকার নেই। সাধারণ জ্ঞান ব্যবহার করেই এর উত্তর জানা সম্ভব।

যেমন সম্ভব হচ্ছে বাংলাদেশ দলের মন বোঝা। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাওয়ার আগের দুই আড়াইটা বছর তামিম-মুশফিক-মাহমুদুল্লাহরা ছিলেন উড়তে থাকা পাখির মতো। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা সফর এবং দেশের মাটিতে লঙ্কানদের বিপক্ষে নাস্তানাবুদ হওয়া বাংলাদেশকে ভরে দিয়েছে খাঁচার ভিতর। সেই খাঁচা ভেঙে মুক্তির বাতাস পেতে বাংলাদেশের দরকার একটা মাত্র জয়।

মঙ্গলবার থেকে কলম্বোর পি সারা ওভালে শুরু হচ্ছে নিদাহাস ট্রফি। শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতার ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত এই আসরে শ্রীলঙ্কা-ভারতের সঙ্গে খেলছে বাংলাদেশও। মঙ্গলবার আসরের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামছে শ্রীলঙ্কা ও ভারত। বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ খেলবে আট তারিখ। তার আগে সোমবার সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তামিম ইকবাল।

বাজে পারফরমের ব্যর্থতার ভারে খাঁচায় আটকে পড়া বাংলাদেশ গা ঝাড়া দিয়ে উঠতে পারে একটা জয় পেলেই। এমন মন্তব্য করে তামিম বলেন, ‘আমাদের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। গত কয়েকটি সিরিজে খুব বাজে পারফরম করেছি এবং এই পারফরম সবার মধ্যে একটা আতঙ্ক তৈরি করেছে। আমি মনে করি, পরিস্থিতি বদলে যাবে। নতুন কিছু থেকে আমরা মাত্র একটা জয় দূরে আছি।’

সেই একটা জয় যতো দ্রুত আসবে হারের পর হারে আতঙ্কিত হয়ে পড়া দলের ফুসফুসে মুক্তির বাতাসও ঢুকবে ততো দ্রুত। তামিম বলেন, ‘আমরা শিগগিরই পুরোনো চেহারায় ফিরতে পারবো। এ জন্য আমাদের দরকার মাত্র একটা জয়। এই জয়টা দ্রুত পাওয়ার জন্য আমরা মুখিয়ে আছি।’

তামিম ইকবাল মনে করেন, একজন ব্যাটসম্যান বা একজন বোলারের যেমন বাজে সময় আসে। তেমনি বাজে সময় আসতে পারে একটা দলেরও। সুতরাং টানা কয়েক সিরিজের ব্যর্থতা হতাশ হওয়ার মতো হলেও, আতঙ্কিত হলে চলবে না বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশের সেরা ওপেনার।

তামিমের মতে, বাংলাদেশের এখন যে অবস্থা, তার মূল দায় দ্রুত আতঙ্কিত হয়ে পড়ার। তামিম বলেন, ‘এ রকম অবস্থা যে কোনো দলেরই হতে পারে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমর বোধহয় একটু বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়ছি। এট কমানো দরকার।’

তামিমের কথাগুলো নিশ্চয় সতীর্থরাও শুনে থাকবেন এবং দলের অন্যতম সিনিয়র সদস্যের কথা মেনে নিশ্চয় আতঙ্ককে পাশ কাটিয়ে মুক্তির বাতাস খুঁজতেই মাঠে নামবেন তারা। একটা জয়ই তো মাত্র, তারপর নিশ্চয় আতঙ্কের ধার আর ধারবে না বাংলাদেশ!