যেনো ইচ্ছে করেই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলো জিম্বাবুয়ে!

শেষ দুই ওভারে দরকার ছিলো ১৯ রান। উইকেটে ছিলেন ক্রেইগ আরভিন ও কাইল জারভিস। অভিজ্ঞ এই দুজন প্রয়োজনীয় রান নিতে পারলেন না। আরব আমিরাতের কাছে বৃষ্টি-আইনে জিম্বাবুয়ে হারলো তিন রানে। যেনো ইচ্ছে করেই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলো তারা! অথচ ১২ বলে ১৯ রান আধুনিক ক্রিকেটে তেমন কোনো কষ্টসাধ্য কাজই নয়। তিন উইকেট হাতে রেখেও এই রানটা করতে পারলো না জিম্বাবুয়ে!

শেষ তিন ওভারে জিম্বাবুয়ের দরকার ছিলো ২৪ রান। ৩৮তম ওভারে তারা নিতে পারে মাত্র পাঁচ রান। আউট হন গ্রায়েম ক্রেমার। পরের দুই ওভারে প্রয়োজন দাঁড়ায় ১৯ রান।

৩৯তম ওভারে মাত্র চার নিতে সমর্থ্য হন ক্রেইগ আরভিন ও কাইল জারভিস। ওভারটি করেন আমির হায়াত। এই ওভারেই মূলত ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাছাই পর্বে দুর্দান্ত খেলা জিম্বাবুয়ে। পক্ষান্তরে সুপার সিক্সে এই একটি জয়ই নিশ্চিত করতে পারে আরব আমিরাত।

শেষ ওভারে জিম্বাবুয়ের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৫ রান। মোহাম্মদ নাভিদের প্রথম বলে দুই রান নেন জারভিস। পরের বলে নেন এক রান। শেষ চার বলে দরকার দাঁড়ায় ১৩ রান। তৃতীয় বলে চার মেরে পরিস্থির সামান্য নিয়ন্ত্রন নেন আরভিন। শেষ তিন বলে তখনও দরকার আট রান।

চতুর্থ বলে এক রানেন আরভিন। পঞ্চম বলে এক নেন জার্ভিস এবং শেষ বলে ছয় ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না জিম্বাবুয়ের সামনে। মোহাম্মদ নাভিদ অফস্টাম্পের বাইরে ফুলটস দেন, কিন্তু মিস করে বসেন আরভিন। নেন মাত্র দুই রান। অথচ ছয় মারার জন্য ওটার চেয়ে ভালো বল হতেই পারতো না! শেষ হয়ে যায় জিম্বাবুয়ের বিশ্বকাপ স্বপ্ন।

গত দুই বছর ধরে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করার জন্য অবিশ্বাস্য পরিশ্রম করেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটাররা। বাছাই পর্বেও দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলছিলেন তারা। কিন্তু শেষমেষ আরব আমিরতের কাছে হেরে বিদায় নিতে হলো তাদের। ঘরের মাঠে এতো বড় বেদনা সহ্য করা জিম্বাবুয়ের জন্য বেশ কঠিনই হওয়ার কথা!

এই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৪৭ ওভার পাঁচ বলে ২৩৫ রান করে আরব আমিরাত। সাত উইকেট হারিয়ে এই রান করে তারা। পরে বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। বৃষ্টি থামার পর ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে জিম্বাবুয়ের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪০ ওভারে ২৩০ রান। সেই রান করতে গিয়ে ২২৭ রানেই থেমে যায় তারা। তাদের হারতে হয় তিন রানে।

বাছাই পর্ব পেরিয়ে এর আগে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করছে উইন্ডিজ। এখন সুযোগ এসেছে আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানের সামনে। শুক্রবার মুখোমুখি হবে এই দুই দল। যারা জিতবে, তারাই উঠে যাবে বিশ্বকাপে। কোনো কারণে যদি ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়, তবে জিম্বাবুয়ের সমান পয়েন্ট হবে আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও আফগানিস্তানের। কিন্তু রান রেটে এগিয়ে থাকায় বিশ্বকাপে উঠে যাবে আইরিশরা।