বিসিবি চাইলে রাজি আছেন কোর্টনি

নিদাহাস ট্রফিতে বাংলাদেশ দলের আপাতকালীন কোচের দায়িত্ব পালন করেন ক্যারিবীয় কিংবদন্তি কোর্টনি ওয়ালশ। বোলিং কোচের পদ থেকে সরিয়ে তাকে দেয়া হয় প্রধান কোচের সাময়িক দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব তুলে দেয়ার জন্য নতুন কাউকে এখনো খুঁজে পায়নি বিসিবি। ফলে নতুন করে তাকেই দায়িত্ব দেয়া হতে পারে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। কোর্টনি বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানালেন, বোর্ড যদি চায়, তাহলে তিনিও রাজি আছেন।

চান্দিকা হাথুরুসিংহের সময়েই বোলিং কোচ হিসেবে কোর্টনিকে নিয়ে আসে বিসিবি। তার অধীনে অবশ্য পেসাররা এখনো খুব বেশি কিছু করতে পারেননি। তবে উন্নতির ধারাটা এর মধ্যেই দেখা যাচ্ছে।

বিসিবি যদি পূর্ণকালীন মেয়াদে তাকে প্রধান কোচের দায়িত্ব দিতে চায়, তাহলে তিনি তা নিবেন কিনা, এমন প্রশ্ন করা হলে কোর্টনি বলেন, ‘আমার প্রধান চিন্তা হলো বাংলাদেশ দলের সাফল্য। আমি জানি বোর্ড একজন প্রধান কোচ খুঁজছে। এখন তারা যদি আমাকেও দায়িত্ব চালিয়ে যেতে বলে আমি খুশি মনেই রাজি আছি। আমরা যতো দ্রুত একজন প্রধান কোচ পাবো, আমাদের কাজ ততো দ্রুত সামনে এগুবে।’

প্রধান কোচের দায়িত্ব তার কাঁধে বর্তাবে কিনা, তা বলে দিবে সময়ই, তবে আপাতত কোচের দায়িত্বটা তিনি উপভোগ করছেন বলেই জানিয়েছেন ওয়ালশ। তিনি বলেন, ‘যে দায়িত্ব আমাকে দেয়া হয়েছিলো, নিদাহাস ট্রফিতে তা আমি উপভোগ করেছি। সবাই খুব পেশাদার ছিলো। খেলোয়াড়রা তাদের পুরো সামর্থ্য দিয়ে চেষ্টা করেছে। কিন্তু ট্রফিটা নিয়ে আসতে না পারায় হতাশ হয়েছি। তারপরও আমার বিশ্বাস, খেলোয়াড়রা দিনে দিনে কেবল আরো শক্তিশালীই হবে।’

বাংলাদেশ দলের পরবর্তী খেলা হতে পারে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। গত বছর টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া দেশটি জুন মাসে ভারতের বিপক্ষে তাদের প্রথম টেস্ট খেলবে। তার আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে একটি ওয়ানডে সিরিজ খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছে তারা। বিসিবিও তাতে সাড়া দিয়েছে। দিন কয়েকের মধ্যেই সেই সিরিজ চূড়ান্ত হয়ে যেতে পারে।

এরপর বাংলাদেশের লক্ষ্য উইন্ডিজ— কোর্টনি ওয়ালশের দেশ। সেখানকার সিরিজের জন্য এর মধ্যেই চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছেন ওয়ালশ। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘উইন্ডিজ সফর খুবই আকর্ষণীয় হতে পারে। যদিও সেখানকার কন্ডিশন ও মানসিক দৃড়তা বাংলাদেশের জন্য খুব চ্যালেঞ্জিং হবে। এ ছাড়া দেশের বাইরে দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে আমরা তেমন সুবিধা করতে পারিনি।’