শুরু থেকে অর্থাৎ সেই ২০০৮ সাল থেকে আইপিএল খেলছে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। কিন্তু এখন পর্যন্ত শিরোপা জিততে পারেনি ফ্রাঞ্চাইজিটি। শিরোপা জয় তো দূরের কথা এখন পর্যন্ত ফাইনালেও উঠতে পারেনি। ২০০৮ ও ২০০৯ এর আইপিএলে সেমিফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিল দিল্লি। সেটাই দলটির এখন পর্যন্ত সেরা সাফল্য।

yuvraj sami maxwell morris

২০১৩ সালে নয় দলের মধ্যে নবম হয়েছিল দিল্লি। এরপর ২০১৪ সালে আট দলের মধ্যে অষ্টম, ২০১৫ সালে আট দলের মধ্যে সপ্তম, ২০১৬ সালে আট দলের মধ্যে ষষ্ঠ ও গত বছরও আট দলের মধ্যে ষষ্ঠ হয়েছিল দলটি। চলতি মৌসুমেও এখন পর্যন্ত যে হাল তাতে এবারও হয়তো নিচের দিকে থেকেই আইপিএল শেষ করতে হবে দিল্লিকে। এখন পর্যন্ত দশ ম্যাচ খেলে সাতটিতেই হারা দিল্লি পয়েন্ট টেবিলে নিচ দিক থেকে দ্বিতীয়!

তবে প্রতিবার ব্যর্থ হতে হলেও ‘দল খারাপ হয়েছে’ কোনো বছরই কিন্তু এমনটা বলার সুযোগ দেয়নি দিল্লি। তারপরও প্রতি বছর হতাশার গ্লানি নিয়ে মৌসুম শেষ করতে হচ্ছে দলটিকে। কারণটা কি? কারণ খুঁজতে গেলে সবার আগে চোখে পড়বে দিল্লির বড় তারকাদের ব্যর্থতার কাহিনি। প্রতি মৌসুমে যাদের পেছনে মোটা অঙ্কের অর্থ ঢেলেছে দলটি, যাদেরকে কেন্দ্র করে দল সাজাতে চেয়েছে, মৌসুম শেষে দেখা গেছে তারাই বেশি ব্যর্থ।

এবারই যেমন দক্ষিণ অফ্রিকান অলরাউন্ডার ক্রিস মরিচ, দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার কাগিসো রাবাদা, অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামি, ভারতীয় স্পিনার অমিত মিশ্রদের পেছনে মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ করেছে দিল্লি। কিন্তু এই ‘দামি’ ক্রিকেটাররা সবাই একসাথে ব্যর্থ।

ইনজুরির কারণে ৪ কোটি ২০ লাখ রুপিটতে কেনা কাগিসো রাবাদা খেলতেই পারছেন না। নয় কোটি রুপি খরচ করে কেনা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল খেলতে পারছেন। কিন্তু সাফল্যের খাতা প্রায় শূণ্য! এখন পর্যন্ত নয় ম্যাচ খেলে মাত্র ১৩৩ রান করেছেন ম্যাক্সওয়েল। ক্রিস মরিস ওভারপ্রতি দশেরও বেশি করে রান দিয়ে মাত্র তিনটি উইকেট দখল করতে পেরেছেন। ব্যাট হাতে রান মাত্র ৪৬! ৪ কোটি রুপির অমিত মিশ্র ছয় ম্যাচে ১৬৩ রান খরচ করে ছয় উইকেট তুলে নিতে পেরেছেন। শুধু এবার নয়, আগের মৌসুমগুলোতেও ‘দামি’ ক্রিকেটারদের কারণে ‘গালে হাত’ দিয়ে বসে থাকতে হয়েছে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকে। আগের মৌসুমের কিছু গল্প জেনে নেওয়া যাক-

যুবরাজ সিং: ২০১৫ সালে ভারতীয় অলরাউন্ডার যুবরাজ সিংকে রেকর্ড ১৬ কোটি রুপিতে কিনে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। কিন্তু সে বছর যুবরাজের মাঠের পারফরম্যান্স ছিল বড্ডই ‘গরিব’। পুরো আসর মিলিয়ে ভারতীয় তারকার ব্যাটিং গড় ছিল মাত্র ১৯.০৭।

পবন নেগি: ২০১৫ সালের আইপিএলেই পবন নেগির পেছনে ৮ কোটি রুপি খরচ করে দিল্লি। কিন্তু পুরো আসরে ৮ ম্যাচ খেলে মাত্র ৫৭ রান করেন নেগি। বল হাতে উইকেট দখল করেন মাত্র ১টি!

ইরফান পাঠান: ২০১১ সালের আইপিএলে ভারতের গতি তারকা ইরফান পাঠানকে ১১ কোটি রুপিতে কিনেছিল দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। কিন্তু ইরফানের মাঠের পারফরম্যান্স মোটেও কোটিপতির মতো ছিল না। তিন বছরে দিল্লির হয়ে ৪৭ ম্যাচ খেলে রান করেছিলেন মাত্র ৪৬৮। উইকেট নিতে পেরেছিলেন ২৯টি।

দিনেশ কার্তিক: ২০১৪ সালের আইপিএলে দিনেশ কার্তিককে সাড়ে বারো কোটি রুপিতে কিনেছিল দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। কিন্তু পুরো আসরে ১৪ ম্যাচ খেলে ৩২৫ রান করেন কার্তিক।

মুরালি বিজয়: ২০১৩ সালের আইপিএলে দুর্দান্ত খেলতে থাকা মুরালি বিজয়কে ৫ কোটি রুপিতে কিনেছিল দিল্লি। কিন্তু দিল্লিতে এসেই যেন দুর্দান্ত রুপটা হারিয়ে ফেললেন বিজয়! সেবার দিল্লির হয়ে ১১ ম্যাচে মাত্র ২০৭ রান করতে পারেন ভারতীয় ওপেনার।

দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের ভাগ্যটাই যেনো খারাপ, তা না হলে ভাল দল গড়েও কেনো বারবারই একই অবস্থা হবে!

Stay on top of the latest sports news, including cricket and football, from around the world. Get comprehensive coverage of matches, tournaments, and leagues— along with expert analysis and commentary from our team of sports journalists. Whether you're a die-hard fan or a casual observer, you'll find everything you need to know about your favorite sports here.

Sports, cricket, and football are popular topics in the world of sports. Cricket is a bat-and-ball game played between two teams of eleven players and is particularly popular in South Asian countries. Football, also known as soccer, is a team sport played with a spherical ball between two teams of eleven players and is widely popular worldwide. Sports enthusiasts follow the latest news, matches, tournaments, and leagues in these sports and analyze and comment on the performances of players and teams.