নিজেকে মেলে ধরার অপেক্ষায় আরিফুল

ঘরোয়া পর্যায়ে দীর্ঘদিন ধরে খেলতে খেলতে যে কজন ক্রিকেটার জাতীয় দলের জন্য নিজেদের প্রস্তুত বলে প্রমাণ করেছেন, আরিফুল হক তাদের মধ্যে এক নম্বরে। এরই মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়ে গেছে তার। এখন অপেক্ষা করছেন ওয়ানডে ও টেস্টের জন্য। ঘরোয়া পর্যায়ে নিজেকে ম্যাচ উইনার হিসেবে প্রমাণ করা আরিফুল জাতীয় দলের হয়েও নিজের সেই সত্তার প্রকাশ ঘটানোর দিন গুনছেন। সোমবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সে কথাই বললেন তিনি। 

বাংলাদেশের পরবর্তী খেলা আফগানিস্তানের বিপক্ষে। ভারতের দেরাদুনে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে জুনের প্রথম সপ্তাহে দেশ ছাড়বেন সাকিব আল হাসানরা। এরপর দীর্ঘ সফরে যেতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই দুই সফররের প্রস্তুতির জন্য রোববার থেকে অনুশীলন শুরু করেছে বাংলাদেশের প্রাথমিক দল। সোমবার ছিলো বিশ্রামের দিন। তারপরও এ দিন বিসিবিতে হাজির হন আরিফুল এবং মুখোমুখি হন সংবাদ মাধ্যমের।

আপাতত আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজকে পাখির চোখ করা আরিফুল নিজের প্রস্তুতি নিয়ে বলেন, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে আমাদের পরবর্তী সিরিজ। এই সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আফগানিস্তান দলে মুজিব আছে, রশিদ খান আছে। আইপিএলে ওদের খেলা দেখছি। সব মিলিয়ে ওদেরকে ভালোভাবে খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

রশিদ খান ও মুজিব উর রহমান এরই মধ্যে নিজেদের ম্যাচ উইনার হিসেবে প্রমাণ করেছেন। এ দুজন আইপিএল খেলছেন বলেই যে আফগানিস্তান এগিয়ে থাকবে, তা মনে করেন না আরিফুল। তার মতে, আফগানিস্তানের বোলিং এ দুজনের কারণে বেশ ভালো হলেও তাদের ব্যাটিং অতোটা নয়। পক্ষান্তরে নিজেদের ব্যাটিং ও বোলিং, দুই বিভাগ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী আরিফুল মনে করেন, তিন ম্যাচের সিরিজটাতে বাংলাদেশ জিতে ৩-০ ব্যবধানে।

আরিফুলের এই আত্মবিশ্বাসী উচ্চারণ ধাক্কা খেতে পারে কন্ডিশনের জন্য। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজটি হবে ভারতের দেরাদুনে। যেখানে বাংলাদেশ দলের আগের খেলার কোনো অভিজ্ঞতা নেই। এ ছাড়া যে সময়ে খেলা, তখন সেখানে প্রচুর গরম পড়ারও সম্ভাবনা আছে। 

আরিফুল বলেন, ‘আমি দেরাদুনে একবার খেলতে গিয়ছিলাম (রাজশাহীর নর্থ বেঙ্গল ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে)। তখন সেখানকার কন্ডিশন দেখেছি। গরম একটু বেশি পড়ে। গরম তো আসলে এখানেও পড়ে এখন। আশা করি কন্ডিশন খুব একটা সমস্যা হবে না।’

কন্ডিশন নিয়ে আত্মবিশ্বাসী আরিফুল আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে চান তার পারফর্ম দিয়েও। তিনি চান দলে নিজের জায়গাটা পাকা করতে। এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার বলেন, ‘এখনো আমি জাতীয় দলে থিতু নই। থিতু হওয়াই আমার মূল লক্ষ্য। কখন কিভাবে সুযোগ পাবো এবং কিভাবে পারফর্ম করবো, সেটার উপর নির্ভর করছে আমার ভবিষ্যত। সুযোগ পেলে নিজের সব অভিজ্ঞতা দিয়ে চেষ্টা করবো।’