জার্মানির লজ্জার বিদায়: ক্ষমা চাইলেন গুরু-শিষ্য

চ্যাম্পিয়নশিপের অভিশাপ নিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব থেকেই ছিটকে গেছে জার্মানি। দুঃস্বপ্নের এই মিশন শেষে দেশে ফিরে গেছে জার্মানরা। বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেই এই ভরাডুবির দায় নিলেন প্রধান কোচ জোয়াকিম লো এবং অধিনায়ক ম্যানুয়েল ন্যুয়ার।

মৃত্যুকূপ খ্যাত ‘এফ’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে মেক্সিকোর কাছে ১-০ গোলে হারে শুরু। জার্মানদের ব্যর্থ অভিযান শেষ হলো দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ইনজুরি টাইমে জোড়া গোল হজম করে। চলমান বিশ্বকাপে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের অর্জন মাত্র তিন পয়েন্ট। তাও আবার সুইডেনকে হারাতে গিয়ে কী অগ্নিপরীক্ষাটাই না দিতে হয়েছিল তাদের!

তাতে সাময়িক আশা জাগলেও টিকে থাকা সম্ভব হয়নি। আশি বছর পর প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেওয়ার লজ্জায় পড়তে হয়েছে জার্মানদের। দেশে ফেরার পর স্বাভাবিকভাবেই গণমাধ্যমের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হতে হলো প্রধান কোচ জোয়াকিম লোকে।

নিরস্ত্র জার্মান কোচ ফ্র্যাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করলেন। বলেছেন, ‘যে ফুটবলের জন্য জার্মানি বিশ্বে পরিচিত, আমরা সেটা দেখাতে পারিনি। আমরা প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছি। সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। কোচ হিসেবে সব দোষ আমার।’

ঘুরে দাঁড়াতে জার্মানি দলে যে আমূল পরিবর্তন দরকার সেটার ইঙ্গিত লো নিজেই দিলেন। লো বলেছেন, ‘এমন বাজে পারফরম্যান্সের পর এখন আমাদের সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। সম্ভাব্য করণীয় নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন।’

জার্মান গণমাধ্যম ইতোমধ্যেই লোকে অপাসরণের দাবি জানিয়েছে। তবে এখনই কোনো সিদ্ধান্তে যাচ্ছেন না দেশটির ফুটবল অভিভাবকরা। জার্মান ফুটবল সংস্থার সভাপতি রেইনহার্ড গ্রিন্ডেল অপেক্ষায় আছেন লোর রিপোর্টের। তিনি বলেছেন, ‘আশা করছি প্রতিবেদন পেশ করার পর জোয়াকিম লো তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানাবেন।’

কোচ দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ব্যর্থতার সব দায় নিয়েছেন। কিন্তু কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে অধিনায়ক নুয়্যারকেও। কোচের সুর ধরে তিনিও বললেন, ‘এভাবে বিদায় নেওয়ায় আমরা প্রচণ্ড হতাশ। আমরা একটি ম্যাচেও ভালো খেলতে পারিনি। পুরো দলের সঙ্গে কথা বলেছি। এই ব্যর্থতার দায় আমারও।’