সেই চার রান হলেই জিতে যেতো বাংলাদেশ

দেবেন্দ্র বিশুর বলটি ছিলো লেগ স্টাম্পের কিছুটা বাইরে। মুশফিকুর রহিম গেলেন সুইপ করতে। করলেনও। কিন্তু বলটা তার ব্যাটে লাগলো না। বরং প্যাডে লেগে চলে গেলো একেবারে সীমানার বাইরে। সঙ্গে সঙ্গে জোড়ালো আবেদন করলেন ক্যারিবিয়ানরা। আম্পায়ার দিয়ে দিলেন আউট। কিন্তু মুশফিক রিভিউ চাওয়ার পর দেখা গেলো তিনি আউট হননি। এ অবস্থায় তার পায়ে লেগে সীমানার বাইরে চলে যাওয়া বলটার কী হবে? লেগ বাই চার রান?

আইসিসির নিয়ম অনুসারে আম্পায়ার যদি কোনো বলে সিদ্ধান্ত দিয়ে দেন, তাহলে সেই সিদ্ধান্তই শেষ কথা। অর্থাৎ একটা বলে দুইটা সিদ্ধান্ত হতে পারে না। আম্পায়ার যখন মুশফিককে আউট বলে দিয়েছেন, তখন ওই সীমানার বাইরে যাওয়ার তখন কোনো মূল্য নেই। কিন্তু আম্পায়ার যখন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলেন, রিভিউর কারণে; তখন ওই সীমানার বাইরে যাওয়া বলটার কী হবে? 

আইসিসির নিয়ম এই ক্ষেত্রে নীরব! অর্থাৎ এ বিষয়ে আইসিসির নিয়মে কিছু বলা নেই। ফলে ওই চারটা রানও বাংলাদেশের নয়। সেটা আসলে নয় কোনো রানই। যদি ওই চারটা রান বাংলাদেশের খাতায় যোগ হতো, তাহলে তো ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ম্যাচটাই জিতে জিতে যেতে পারতেন মাশরাফিরা!

এই ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছে চার বছর আগের দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কার লড়াইটাকে। সেদিন ক্যান্ডিতে শেষ ওভারে মাহেলা জয়াবর্ধনেকে এলবি আউট দেন রেফারি। বল চলে যায় সীমানা বাইরে। পরে রিপ্লেতে দেখা যায় আউট হননি লঙ্কান ব্যাটসম্যান। আম্পায়ারও তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। কিন্তু লেগবাই হিসেবে প্রাপ্য চার রান আর পায়নি শ্রীলঙ্কা। সেদিন ম্যাচটা শ্রীলঙ্কা জেতায় সেটা নিয়ে আর কথা হয়নি। কিন্তু বাংলাদেশের বেলায় ফলটা প্রতিকূলে যাওয়া বিষয়টা চোখে পড়েছে বিশ্লেষকদের।

ক্রিকেট পরিসংখ্যানবিদ রজনীশ গুপ্ত তার টুইটারে পেজে টুইট করে বলেছেন, ‘ওই চার রান অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মুশফিককে প্রথম আম্পায়ার আউট দেওয়ায় রানটা যোগ হয়নি। ক্রিকেটীয় এই আইন নিয়ে একদিন ঠিকই বিতর্ক হবে।’