অবশেষে মুখ খুললেন জার্মান ফুটবলের ‘বিতর্কিত’ প্রেসিডেন্ট

ফুটবল দুনিয়াকে বিস্মিত করে হঠাৎই জার্মানিকে বিদায় বলে দিয়েছেন মেসুত ওজিল। অবসরপত্রে জার্মান ফুটবল সংস্থার প্রেসিডেন্ট রেইনহার্ড গ্রিনডেলকে ধুয়ে দিয়েছেন আর্সেনাল মিডফিল্ডার। গ্রিনডেলের বিরুদ্ধে বর্ণবৈষম্যেরও অভিযোগ তুলেছেন বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা ফুটবলার।

এই ঘটনার পর থেকেই জার্মান ফুটবলের প্রধানকর্তাকে নিয়ে বিশ্বজুড়ে বইছে সমালোচনার ঝড়। ওজিলের অবসর নিয়ে বিতর্কের তোপে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন গ্রিনডেল। কয়েকটি গণমাধ্যমে এমন গুঞ্জনও উঠেছিল সরে দাঁড়াতে পারেন তিনি। কিন্তু গুজব উড়িয়ে দিয়েছেন জার্মান ফুটবলের প্রধানকর্তা।

তুমুল বিতর্কের মুখে অবশেষে মুখ খুলেছেন গ্রিনডেল। বলেছেন, ‘অবসরপত্রে মেসুত ওজিল বর্ণবাদের যে অভিযোগ তুলেছেন সেটা যথেষ্ঠ আলোড়ন তুলেছে। জার্মান ফুটবল সংস্থার প্রধান হিসেবে আমি এই বিতর্ক এড়িয়ে যেতে পারি না।’

ওজিল বর্ণবাদের যে অভিযোগ তুলেছেন সেটাও রীতিমতো অস্বীকার করছেন এই ফুটবল সংগঠক। এক বিবৃতিতে গ্রিনডেল বলেছেন, ‘আমি খুবই ব্যথিত যে, আমার সহকর্মী, স্বেচ্ছাসেবক এবং কোচিং স্টাফদের বর্ণবাদী বলা হয়েছে। অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এবং ব্যক্তিগতভাবে আমি এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করছি।’

গ্রিনডেল আরো বলেছেন, ‘বিশ্বকাপে জার্মানির পারফরম্যান্স নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। আমিও নিজেকে প্রশ্ন করেছিলাম। ওই সময় হয়তো আমিও এরচেয়ে ভালো পারফর্ম করতে পারতাম। আমি স্পষ্ট করে বলছি, এই সমালোচনা ব্যক্তিগতভাবে আমাকে আঘাত করেছে।’

জার্মানিতে জন্ম এবং বেড়ে ওঠা হলেও ওজিলের পূর্বপুরুষ তুরস্কের। যে কারণে তুরস্কের প্রতি একটা আলাদা একটা দুর্বলতা আছে এই মিডফিল্ডারের। সেটা নতুন করে প্রকাশ্যে এসেছে গত মে মাসে; যখন লন্ডনে একটি অনুষ্ঠানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোয়ানকে একটি জার্সি (আর্সেনালের) উপহার দিয়েছিলেন ওজিল।

ওই মুহূর্তের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওজিল বিতর্কের মুখে পড়েন সেখান থেকেই। কিন্তু ওজিল এবং এরদোয়ানের ছবিটা নেতিবাচকভাবে নিয়েছিল জার্মান ফুটবল সংস্থা। তাদের দাবি- ওই ছবি দিয়েই রাজনৈতিকভাবে ফায়দা লুটেছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। এবং ওজিল তাকে সহায়তা করেছেন।

কিন্তু এ ভাবনাটা যে ভুল ছিল সেটা অবশেষে স্বীকার করলেন গ্রিনডেল। বলেছেন, ‘আমরা মূল্যবোধ নিয়ে বাস করি। যে কারণে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে ওজিলের ছবিটা নিয়ে এত সমালোচনা হয়েছে। আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি যে, ছবিটার অপব্যাখ্যা হিসেবে (সমর্থকরা) বর্ণবাদ আচরণ করেছেন।’