জ্বলে উঠলেন 'আগামীর মাশরাফি'

মেহেদি হাসান মিরাজকে বলা হচ্ছে 'আগামীর মাশরাফি'। মিরাজ বর্তমানে বাংলাদেশ যুবদলের অধিনায়ক। দলের অন্যতম সেরা ক্রিকেটারও। মাশরাফির সাথে তুলনার কারণটা বেশ মজার। মাশরাফি পেস বোলার কিন্তু মিরাজ তা নন। মিরাজ মূলত ব্যাটিং অলরাউন্ডার। সাথে ডানহাতের অফস্পিনটাও পারে। অনেকটা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের মতো। তারপরও মিরাজকে মাশরাফির সাথে তাকে তুলনা করার কারণ তার নেতৃত্বগুণ। মাশরাফির মধ্যে যেমন সহজাত নেতার স্বভাব আছে, ঠিক তেমনি আছে মিরাজের মধ্যেও। এই মিরাজ জাতীয় লিগে বল হাতে দারুণ করলেন ঢাকা মহানগরের বিপক্ষে।

মিরপুরে ঢাকা মহানগরের বিপক্ষে আগে ব্যাটিং করে মিরাজের দল। তারা তুলে ৪৫৫ রান। সেঞ্চুরি করেন মোহাম্মদ মিঠুন। তার সেঞ্চুরিটা মাত্র ১৪ রানের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি হতে পারেনি। এ ছাড়া হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তুষার ইমরান ও মিরাজ।

ঢাকা মহানগর প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়ে যায় ২৭১ রানে। সর্বোচ্চ রান আসে মার্শাল আইয়ুবের ব্যাট থেকে। ৬৬ রান করে অপরাজিত থাকেন শরিফুল্লাহ। ঢাকা মহানগরের ইনিংস গুড়িয়ে দেন মিরাজ। হাফ সেঞ্চুরির পর বল হাতেও যাদু দেখান তিনি। ২৩.৩ বলে ৬১ রান দিয়ে তুলে নেন ঢাকার ছয়টি উইকেট।

ব্যাটে বলে মিরাজের জ্বলে উঠার ম্যাচে শক্ত অবস্থানে আছে তার দল খুলনা। নেতৃত্বগুণের পাশাপাশি ক্রিকেটীয় দক্ষতায়ও সমসাময়িক সবাইকে ছাড়িয়ে দ্রুতই তারকা দ্যুতি পেয়ে যাচ্ছেন মিরাজ।

কেটার হিসেবে মাশরাফির সাথে তার পার্থক্য থাকলেও একটা জায়গায় অগ্রজের সাথে তার তুলনাটা বেশ মানানসই। মাশরাফি যেমন দলের অন্যতম পারফর্মার হওয়ার পাশাপাশি নিজের নেতৃত্ব যোগ্যতার মাধ্যমে মাতিয়ে রাখেন পুরো দলকে, সেই কাজটা মিরাজও করে চলেছেন।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মিরাজের অভিষেক হয়। অভিষেকে ব্যাট হাতে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন যুবদলের অধিনায়ক। পরে বল হাতে নেন এক উইকেট। মিরাজের অলরাউন্ড দক্ষতার পাশাপাশি তার প্রাকৃতিক নেতৃত্বগুণে ভর করে নতুন স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। ২০১৬ সালে ঢাকা অনুষ্ঠিত হবে যুব বিশ্বকা। এই আসরে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিবেন মিরাজ। কে জানে, মাশরাফিরা যে আফসোস এখনো ঘুচাতে পারেননি, তা হয়তো ঘুচিয়ে দিবে মিরাজের বাংলাদেশ!

আপনি আরো পড়তে পারেন

আত্মসমর্পণের পর কারাগারে ক্রিকেটার শাহাদাত

বিপিএলের জন্য মুখিয়ে আছেন আফ্রিদি

অতীত হয়ে যাচ্ছেন শ্রিনিবাসন