হেসেখেলেই জিতে গেলো উইন্ডিজ

১১ ওভারে ৯১ রান করা সহজ কথা নয়। কিন্তু ক্যারিবীয় পাওয়ার হিটারেদর কাছে এই রানটা হয়ে গেলো হেসেখেলে স্পর্শ করার লক্ষ্য। সেন্ট কিটসে টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম ম্যাচটা বাংলাদেশ হারলো সাত উইকেটে।

৯১ রানের লক্ষ্য দশম ওভারের প্রথম ওভারেই স্পর্শ করে ফেলে বর্তমান টি-টোয়েন্টি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২১ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন আন্দ্রে রাসেল। তার সঙ্গে অপরাজিত থাকেন রভম্যান পাওয়েলও। তিনি করেন ৯ বলে ১৫ রান।

অথচ লক্ষ্য পূরণ করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই মোস্তাফিজের তোপের মুখে পড়ে ক্যারিবীয়রা। নিজের প্রথম ওভারে কোনো রান না দিয়ে এভিন লুইস ও আন্দ্রে ফ্লেচারকে তুলে নেন মোস্তাফিজ। কিন্তু মোস্তাফিজ তার পরের ওভারে দিয়ে দেন ১৮ রান।

বাংলাদেশ অবশ্য ম্যাচের প্রথম বলেই হারের লক্ষণ দেখিয়ে দেয়; অ্যাশলে নার্সের যে বলে অহেতুক ডাউন দ্য উইকেটে এসে স্টাম্পিং হন তামিম ইকবাল। ওয়ানডে সিরিজের তিন ম্যাচেই পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলা তামিম প্রথম বলটাতেই ও রকম কেনো খেললেন, কে জানে! দুই বল পর বিদায় নেন ওয়ানডে সিরিজে সুযোগ না পাওয়া সৌম্য সরকার।

চার বলে দুই ওপেনারকে হারানো বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ১৪৩ রানে ইনিংস শেষ করে। সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তিনি ছাড়া আর কেউ প্রয়োজন মেটানোর মতো ব্যাটিং করতে পারেননি। সেন্ট কিটসে এ দিন নিখাদ ব্যাটিং উইকেটই দেখা গেছে। যদিও পেসারদের জন্যও দারুণ কিছু ছিলো।

বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ক্যারিবীয় পেসারদের সামাল দিতে গলদঘর্ম হয়। বিশেষ করে শর্ট বলে বাংলাদেশের চিরায়ত দুর্বলতা ধরা পড়ে আবার। লিটন, সাকিব ও মুশফিক ধরা পড়েন ওই শর্ট বলেই। ক্যারিবীয়দের হয়ে চারটি উইকেট নেন কার্সিক উইলিয়ামস। দুটি করে উইকেট নেন অ্যাশলে নার্স ও কিমো পল।

ওয়ানডেতে সিরিজ জিতলেও টি-টোয়েন্টিতে কাজটা সহজ হবে না সাকিবদের জন্য, সেটা প্রমাণ হয়ে গেলো প্রথম ম্যাচেই। ম্যাচ শেষে আন্দ্রে রাসেল যা বলে গেলেন, তাতে ফ্লোরিডার পরের দুই ম্যাচেও কঠিন সময়ই পার করতে হবে বাংলাদেশকে।

আন্দ্রে রাসেল ম্যাচ শেষে বলেন, 'বাংলাদেশ শক্তিশালী দল। ওয়ানডে সিরিজ জিতে তারা তা প্রমাণ করেছে। আমি তাই তাদেরকে খাটো করে দেখতে চাই না। কিন্তু টি-টোয়েন্টি সিরিজটি আমরাই জিততে চাই।'