দারুণ শুরু ম্লান ভঙ্গুর মিডলঅর্ডারে, মাশরাফিদের পুঁজি মাত্র ২২২

এক উইকেটে ১২০ রান করা বাংলাদেশ এশিয়া কাপের ফাইনালে গুটিয়ে গেলো মাত্র ২২২ রানে। শুরুর দিকের চমকে ভারতকে কাঁপিয়ে দেয়া বাংলাদেশ ফাইনালটা যেনো হেরে বসলো প্রথম ইনিংস শেষেই। যদিও ক্রিকেট গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা, তারপরও এই ম্যাচ থেকে আশা করার মতো খুব বেশি থাকার কথা নয় বাংলাদেশের।

এ দিন টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে চমকে দেয় বাংলাদেশ। লিটন দাসের সাথে ওপেন করতে নামেন মেহেদি হাসান মিরাজ। মাশরাফি বিন মর্তুজা এমন একটা কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আগের দিনই।

মাশরাফির এই ‘পটকা’ কাজে লেগে যায় দারুণভাবে। দুই বছর পর ওপেনিংয়ে ১০০ রানের জুটি পায় বাংলাদেশ। কিন্তু এই জুটি যে আত্মবিশ্বাসের হাওয়া ছড়িয়ে দিয়েছিলেন, তা হাওয়ায়ই মিলিয়ে যায় মিডলঅর্ডারের নিদারুণ ব্যর্থতায়।

পুরো আসরে ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দি থাকা লিটন দাস ফাইনালে তুলে নেন অনবদ্য এক সেঞ্চুরি। তার ব্যাট হাসলে সে দিন কী হতে পারে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তা দেখাতে পারছিলেন না তিনি। কিন্তু এ দিন জ্বলে উঠলো এই ডানহাতির ব্যাট। তাতেই বেসামাল হতে পারতো ভারত। কিন্তু মিডল অর্ডার; থাকলো কেবলই দুঃখ হয়ে।

মিডল অর্ডারে ইমরুল কায়েস, মোহাম্মদ মিঠুন, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের মিলিত অবদান মাত্র ১৩ রান! বাংলাদেশ এশিয়া কাপের ফাইনাল থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে ছিটকে যায় তখনই। এদের মধ্যে কেবল ইমরুলের আউটটা মেনে নেয়ার মতো। এলবিডব্লিউর শিকার হন তিনি। কিন্তু বাকি তিনজন আউট হন নিজেদের ভুলে বা অসচেতনতায়।

মিডল অর্ডারের ব্যর্থতাই বাংলাদেশের প্রথম শিরোপা স্পর্শ করার স্বপ্ন থেকে অনেক দূরে ঠেলে দিয়েছে। ২২২ রান নিয়ে ওয়ানডে জেতার আশা করাটা একটু বাড়াবাড়িই। তার ওপর প্রতিপক্ষ এখানে ভারত। যাদের কাছে ২২২ রান চেজ করা বিকেলে পার্কে হাঁটতে যাওয়ার মতো আয়েশি ব্যাপার!