কেনো শেষ ওভারে মাহমুদুল্লাহ, জানালেন মাশরাফি...

শেষ পাঁচ ওভারে জয়ের জন্য ভারতের দরকার ছিল ২৬ রান, হাতে পাঁচ উইকেট। অন্যদিকে দারুণ বোলিং করতে থাকা মোস্তাফিজুর রহমান ও রুবেল হোসেনের তখন দুটি করে ওভার বাকি। তাহলে আর একটি ওভার কে করবে? মাশরাফি বিন মর্তুজার কোটার দশ ওভারও শেষ। ওই ওভারটি করার জন্য মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন মাশরাফি।

সেটাও ইনিংসের শেষ ওভারে! যখন জয়ের জন্য ভারতের দরকার ছিল ছয় বলে ছয় রান। শেষ ওভারটি কি মোস্তাফিজকে দিয়ে করানো যেতো না? এমন প্রশ্ন হয়তো অনেকের মনেই উঠবে। কিন্তু সার্বিকভাবে চিন্তা করলে দেখা যাচ্ছে মাশরাফির সিদ্ধান্তটা সঠিকই ছিল।

স্পিনাররা ভালো বোলিং করছিলেন না। ফলে রুবেল, মোস্তাফিজকে রেখে স্পিনারদের বোলিং করতে দিলে শেষ ওভার পর্যন্ত হয়তো খেলা যেতোই না! রুবেল ও মোস্তাফিজ টানা চার ওভার করার কারণে রানের চাকা টেনে ধরার পাশাপাশি দুটি উইকেটও আদায় করতে পেরেছিল বাংলাদেশ। যাতে শেষ ওভারে জয়ের জন্য ভারতের টার্গেট দাঁড়ায় ছয়।

ম্যাচ শেষে মাশরাফি বললেন, 'ওদের যখন সাড়ে ৫ রান করে লাগে, তখন আমি মিরাজকে এনেছি। রিয়াদকে এনেছি। তখন কেউ যদি দুইটা ওভারও ভালো বোলিং করে দিত, তাহলে খুব ভালো হতো। একজন স্পিনার ভালো করলেও ৪৬ নম্বর ওভার থেকে আমি রুবেল ও মোস্তাফিজকে শেষ পর্যন্ত বোলিং করাতে পারতাম। তাহলে হয়তো ভারতের কাজটা অনেক কঠিন হতো। কারণ, ওদের বোলিংয়ে অনেক ভ্যারিয়েশন আছে।'

শেষ ওভারে জয়ের জন্য যখন ৬ রান দরকার তখন প্রথমে সৌম্য সরকারের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন মাশরাফি। পরে দেখা গেল আলোচনা করে বল তুলে দিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের হাতে। এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে মাশরাফি বলেন, 'রিয়াদকে বলছিলাম, ওরা মারতে যাবে। মারতে গেলে মিস হিট হতে পারে। বিশেষ করে কুলদীপ মারার চেষ্টা করবে। যাদব যেহেতু ব্যাটসম্যান, ও হয়তো তা করবে না। পঞ্চম বলটাই কিন্তু কুলদীপের ব্যাটে ইনসাইড এজ হয়েছিল। আসলে এ রকম পরিস্থিতিতে একটু লাক ফেবার করতে হয়।'

পঞ্চম বলে ভাগ্যের ছোয়া পেয়ে স্কোর লেভেল করে দেন কুলদীপ যাদব। শেষ বলটা ডট হলে সুপার ওভারে গড়াতো ফাইনাল। শেষ বল নিয়ে মাশরাফির পর্যালোচনা, 'ওই বলটা হয় ডট হতে হতো অথবা আউট। ও ইয়র্কারই করেছিল। কিন্তু বলটা প্যাডে পড়ে গেল। রিয়াদ ভালো করেছে। ওই অবস্থায়, মানে ৬ বলে ৬ রান লাগে, এই অবস্থায় ও ভালো ফাইট করেছে।' এই ফাইট হয়তো ভবিষ্যতের বড় অনুপ্রেরণা।