জিম্বাবুয়ে সিরিজেও চ্যালেঞ্জ দেখছেন সাবেক অধিনায়ক

তিন ম্যাচের ওয়ানডে এবং দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসছে জিম্বাবুয়ে। এক সময় এই দলটি বাংলাদেশের প্রবল প্রতিপক্ষ ছিলো। কিন্তু গত এক দশকে তাদের শক্তিমত্তা কমে গেছে অনেক। আর্থিক জটিলতার কারণে বোর্ডের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের দ্বন্দ্বের জের ধরে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট এখন যেনো ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। তারপরও এই দলটির বিপক্ষে আসন্ন সিরিজকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচক কমিটির অন্যতম সদস্য ও সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন মনে করেন, এই জিম্বাবুয়েও কঠিন পরিস্থিতির মুখে ফেলতে পারে বাংলাদেশকে। তার মতে জিম্বাবুয়ে দলে এমন কয়েকজন ক্রিকেটার আছে, যারা পারফর্ম করলে দলটির চেহারাই বদলে যাবে।

শনিবার বিসিবিতে আসন্ন সিরিজ নিয়ে কথা বলেন সাবেক অধিনায়ক। ২০০৫ সালে হাবিবুল বাশারের নেতৃত্বে এই দলের বিপক্ষেই বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট জিতে। হাবিবুল বলেন, ‘আমার মনে হয় এই সিরিজটা উত্তেজনাপূর্ণ হবে। গতকাল জিম্বাবুয়ের খেলা (দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে) দেখলাম। দল হিসেবে তাদেরকে বেশ ভালো মনে হয়েছে। আমাদের জন্য আসন্ন সিরিজটি চ্যালেঞ্জিং হবে।’

জিম্বাবুয়েকে এখন মনে করা হয় খর্বশক্তির এক দল। দেশে বা দেশের বাইরে কোথাও তাদের বলার মতো কোনো পারফর্ম নেই। সম্প্রতি তারা খেলছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। তিন ম্যাচের ওয়ানডে এবং তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের পাঁচটি ম্যাচ ইতোমধ্যেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে। যার সবই হেরেছে জিম্বাবুয়ে। এই ম্যাচগুলোর কোনোটিতে সামান্যতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাও গড়তে পারেনি তারা।

এরপরও হাবিবুল কেনো তাদের বিপক্ষে সিরিজকে চ্যালেঞ্জিং বলছেন, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘আমাদের সেরা দুজন পারফর্মার এই সিরিজে নেই। এ কারণেই এই সিরিজে আমাদের চ্যালেঞ্জ আছে। আমরা চেয়েছিলাম নতুন কাউকে পরীক্ষা করে দেখতে। কিন্তু যেহেতু সাকিব (আল হাসান) ও তামিম (ইকবাল) থাকছে না, তাই আমরা কোনো পরীক্ষায় যাইনি।’

চলতি সপ্তাহেই ঢাকায় পা রাখবে জিম্বাবুয়ে। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি অনুষ্ঠিত হবে ২১ অক্টোবর। এরপর ২৪ ও ২৬ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের শেষ দুই ওয়ানডে। প্রথম ম্যাচটি ঢাকা হবে এবং বাকি দুটি হবে চট্টগ্রামে। দিবারাত্রির ম্যাচগুলো শুরু হবে বেলা আড়াইটা থেকে।