নিজের নতুন রূপ খুঁজে পেয়ে আত্মবিশ্বাসী মিঠুন

ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ৩৯ বলে ২৬ রান করে। পরের ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ পাননি এবং এভাবেই শেষ হতে বসেছিলো মোহাম্মদ মিঠুনের ওয়ানডে ক্যারিয়ার। কারণ শুরুর ওই ঘটনা যে চার বছর আগের। এরপরও ঘরোয়া ক্রিকেটে তার ব্যাট চলেছে নিয়মিত। রানও করেছেন অনেক। কিন্তু জাতীয় দলের দরজাটা আর খুলতে পারছিলেন না কিছুতেই। সেই দরজা খুললো ২০১৮ সালে এসে।

সুযোগ পেয়েই টানা সাত ম্যাচে সেরা একাদশে সুযোগ পেয়ে গেলেন মিঠুন। এতেই নিজেকে জাতীয় দলের প্রায় অপরিহার্য সদস্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে ফেললেন তিনি। এতে মূল ভূমিকা রেখেছে এশিয়া কাপে প্রচণ্ড চাপের সময় করা তার দুটি হাফ সেঞ্চুরি।

প্রথমে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ওভারের মধ্যে তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার মুশফিকু রহিমের সাথে বড় এক জুটিতে ৬৩ রান এবং পরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬০। এই দুটি ইনিংস তাকে এনে দেয় পাঁচ নম্বরে স্থায়ী হওয়ার সুযোগ। তার চাপ সামলানোর দক্ষতায় জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা এতোটাই খুশি যে, এখনই তাকে বিবেচনা করছেন বিশ্বকাপের নম্বর পাঁচ হিসেবে।

ঘরোয়া পর্যায়ে কার্যকর ব্যাটসম্যান হলেও মোহাম্মদ মিঠুন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তার নিজের কার্যকরিতা নিয়ে নিজেই ছিলেন সন্দিহান। খুব বেশি সুযোগও যেহেতু পাননি, সেহেতু তার সন্দিহান হওয়াটাও স্বাভাবিক। কিন্তু এশিয়া কাপের মতো বড় মঞ্চে বড় দুটি ইনিংস তার বিশ্বাসের পালে বইয়ে দিয়েছে জোর হাওয়া। ফলে মিঠুন এখন নিজেকে বিশ্বাস করতে পারছেন।

‘আমি আসলে আগের মতোই আছি। কিন্তু আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে গেছে। আগে মনে হতো এক ম্যাচ খারাপ খেললেই বাদ, কিন্তু এখন আর তা মনে হচ্ছে না। আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সাফল্য আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে।’ রোববার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন মোহাম্মদ মিঠুন।

ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি এরই মধ্যে একাধিকবার মিঠুনের ব্যাটিং এবং সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। বিশ্বকাপের জন্য তাকে বিবেচনা করতে পারেন বলেও সবুজ সংকেত দিয়েছেন। কিন্তু মিঠুন এখনই বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবছেন না।

তিনি বরং এ বিষয়ে বলেন, ‘বিশ্বকাপের এখনো অনেক সময় বাকি। আমি আসলে ম্যাচ বাই ম্যাচ চিন্তা করি। এখনো তাই করছি। এখন সামনে জিম্বাবুয়ে সিরিজ। আপাতত মনোযোগ এই সিরিজেই। বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন আছে। কিন্তু তার আগে অনেকগুলো সিরিজ, সেখানে ভালো খেলতে হবে।’