মাশরাফি: টি-টোয়েন্টিতে আমরা এখনো শক্তিশালী নই

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দারুণ এক সিরিজের ‘মধুরেণ সমাপয়েৎ’টা হলো না। শেষ ম্যাচের শেষ ওভারে নেভিল মাদিবার দানবীয় ব্যাটিংয়ের কাছে হারতে হলো মাশরাফিদের। দেখতে হয়েছে মাদিবার বুনো উল্লাস। এরপর ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি শান্ত গলায় বলেছেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে আমাদের আরো কাজ করতে হবে। এই ফরম্যাটে এখনো আমরা শক্তিশালী দল নই।’

টেস্টের পারফর্ম ক্রমেই ভালো হচ্ছে। ওয়ানডেতে তো বাংলাদেশ এখন নতুন পরাশক্তিই বলা চলে। কিন্তু টি-টোয়েন্টি মাশরাফিদের এক দুর্বোধ্য ধাঁধার নাম। সেই ধাঁধার রহস্য ভেদ করা এখনো সম্ভব হয়ে উঠেনি বাংলাদেশের সামনে।

ম্যাচ শেষে মাশরাফি বলেন, ‘এই সিরিজের আমাদের দৃষ্টি ছিলো দারুণ একটি কম্বিনেশন গড়ে তোলা। শেষ ম্যাচটি জিততে পারলে ভালো হতো। কিন্তু দুর্ভাগ্যবসত সেটা হয়নি। টি-টোয়েন্টির স্কোয়াড গোছানের জন্য অনেক কাজ করতে হবে। সবাইকে প্রস্তুত করে তুলতে হবে।’

জয়ের জন্য শেষ ওভারে জিম্বাবুয়ের দরকার ছিলো ১৮ রান। বোলিংয়ে তখন নাসির হোসেন। এমন পরিস্থিতিতে আগে কখনোই বোলিং করার ইতিহাস নেই তার। প্রথমবার এসে সফলতার ছোঁয়া পাননি গত এক বছরে অলরাউন্ডার র‍্যাঙ্কিংয়ে ৬৭ ধাপ এগিয়ে আসা এই স্পিনার-ব্যাটসম্যান। এক বল বাকি থাকতেই ১৮ রান তুলে নেন নেভিল মাদিবা।

নাসিরের বোলিং নিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘নাসির ছাড়া ওই সময় আমার হাতে অপশন ছিলো না। ওকে বলেছিলাম চাপ না নিয়ে নিজের মতো করে বোলিং করতে হবে। ওই ধরনের পরিস্থিতিতে আগে কখনোই ও বোলিং করেনি।’

এশিয়া কাপ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এই হার বাংলাদেশকে যেনো শুনিয়ে গেলো জেগে উঠার আহ্বান। ওয়ানডের সাফল্য টি-টোয়েন্টি পেতে তাই কঠিন পরিশ্রমই করতে হবে মাশরাফিদের। বিশেষ করে ম্যাচের কোন সময়ে কী করতে হবে, তা নিয়ে আরো অনেক বেশি দূরদর্শীতার পরিচয় দিতে হবে।

আপনি আরো পড়তে পারেন

সোনায় মোড়ানো বছর শেষ হলো যন্ত্রণায়

চার বছর পর ফিরে ১০ রানেই বিদায় ইমরুল