মাশরাফির ব্যাটে চড়ে দুর্দান্ত জয় কুমিল্লার

মাশরাফি কখনোই তার ব্যাটিং প্রতিভার পুরোটা দেখাতে পারেননি- বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে আফসোসের সত্যগুলোর একটি এটি। ওই আফসোসটা আরো একবার বেরে গেলো বিপিএলে তৃতীয় দিনে মাশরাফির ব্যাটিং দেখে। মনে হলো- হায় ক্যারিয়ারে যদি একটাও ইনজুরি না থাকতো মাশরাফির!

সোমবার বিপিএলের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে ১৭৬ রান করে চিটাগং ভাইকিংস। জবাবে কুমিল্লার হয়ে এ দিন ব্যাটিংয়ে আগেই নামেন মাশরাফি। পাঁচ নম্বরে নেমে ৩২ বলে ৫৬ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন কুমিল্লার অধিনায়ক।

চিটাগংয়ের আমিরের বলে চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন মাশরাফি। ওই চারটা মেরেই ব্যাট ফেলে দিয়ে দুই হাত প্রসারিত করে যেনো বাতাসে উড়তে চাইছিলেন কুমিল্লার অধিনায়ক। মাশরাফিকে এতোটা উৎফুল্ল শেষ কবে দেখা গেছে!

চিটাগংয়ের করা ১৭৬ রান টপকে কুমিল্লা জিততে পারবে কিনা; এ নিয়ে ম্যাচে একটা মুহূর্তেও কোনো রকম অনিশ্চয়তা তৈরি হয়নি। মারলন স্যামুয়েলসের সাথে ১২৩ রানের জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে ফিরেন মাশরাফি। ব্যাটসম্যান মাশরাফির এমন দুর্ণিবার রূপ দেখে নিশ্চয় খুশি হয়েছেন তার কোটি সমর্থক। একই সাথে মনের গভীরে হয়তো প্রিয় তারকার জন্য আফসোসও করেছেন তারা।

বিপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসের সাথে হেরে গিয়েছিলো কুমিল্লা। কিন্তু চিটাগংয়ের সাথে ঠিকই জিতলো তারা। পক্ষান্তরে তিন ম্যাচে দুটিই হেরে গেলো চিটাগং ভাইকিংস।

অনন্য ব্যাটিং প্রদর্শনীর দিনে মাশরাফিকে প্রতিটি মুহূর্তেই নিখাদ ব্যাটসম্যান মনে হয়েছে। একবারের জন্যও মনে হয়নি, তিনি আসলে একজন বোলার। উল্টো মাশরাফি ব্যাটসম্যান হলে কতোটা ভয়ানক হতে পারতেন, এটা নিয়েই ভাবনায় পড়ে গেছেন দর্শকরা।

এ দিন সব ধরনের শটই খেলেছেন মাশরাফি। তার হাতে দেখা সৌম্য সরকারের ‘পেরিস্কোপ’ও! ম্যাচ শেষে কুমিল্লার জয়ের চেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে, মাশরাফির ব্যাটিংই। আহা, এমন মাশরাফিকে যদি প্রতিদিন দেখা যেতো! 

আপনি আরো পড়তে পারেন

শেষ ওভারে শ্বাসরুদ্ধকর জয় বরিশালের

বিপিএলের অদ্ভূতুড়ে নিয়ম-কানুন

সিলেটের মালিক কর্তৃক অপমানিত তামিম