তাই বলে এভাবে খেলবে বায়ার্ন!

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৩ বার শিরোপা জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। সাতবারের চ্যাম্পিয়ন এসি মিলান। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সেরা দলের হিসেবে এরপরই আসে বায়ার্ন মিউনিখ ও লিভারপুলের নাম। দুই দলই সমান পাঁচবার করে রুপালি ট্রফিটা জিতেছে।

ভাগ্য দেবি বড্ড বেরসিক। সাবেক এই দুই চ্যাম্পিয়নকে নক আউট পর্বের শুরুতেই মুখোমুখি করে দিয়েছে। শেষ ষোলোর প্রথম লেগে দুই জায়ান্ট দলের ম্যাচটা শুরুর আগেই যা উত্তাপ ও রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে। কিন্তু প্রত্যাশার ছিটেফোটা প্রতিফলনও ঘটেনি দুই চ্যাম্পিয়নের দলের লড়াইয়ে।

মঙ্গলবার অ্যানফিল্ড স্টেডিয়ামে নিষ্প্রাণ ড্র করেছে তারা। তাও আবার গোলশূন্য! গোলের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে লিভারপুল। সালাহ-মানে-ফিরমিনোরা একের পর এক আক্রমণ সানানোর পরও বায়ার্ন মিউনিখের ‘মার্শাল ডিফেন্স’ ভাঙতে পারেননি।

আসলে রক্ষণদুর্গ আগলে রাখার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নেমেছিল বাভারিয়ান ক্লাবটি। কারণ পুরো ম্যাচে লিভারপুলের গোলমুখে একটাও শট নেয়নি তারা। আসলে নিতে পারেনি বাভারিয়ান ক্লাবটি। গোল করা তো দূরের কথা, গোল ঠেকানোই যে ঢুকে গিয়েছিল তাদের মাথায়। বায়ার্নের এমন খেলার ধরন দেখে অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন।

ম্যাচের প্রায় পুরো সময়জুড়ে বিপদসীমার সামনে বিখ্যাত ‘বাস পার্কিং’ করতেই দেখা গেল জার্মান ক্লাবটিকে। যা বায়ার্নের স্বভাববিরুদ্ধ রণ কৌশল। শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। সালাহদের দুর্দান্ত আক্রমণ রুখে দিয়েছেন শেষ বাঁশির আগ পর্যন্ত। ম্যাচটা ড্র হয়েছে তাতেই খুশি জার্মানির ক্লাবটি।

সালাহ, মানে, ফিরমিনো প্রত্যেকেই হতাশ করেছেন। এই ত্রয়ী খেই হারিয়েছেন বায়ার্নের রক্ষণভাগের কাছে গিয়ে। তাদের সঙ্গে সুযোগ মিস করলেন জেমস মিলনারও। মোট ১৫টি শট করেও গোল পাননি ইউর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। অন্যদিকে নয় শট নিলেও বায়ার্নের একটি শটও ছিল না গোলমুখে।

লিভারপুল ও বায়ার্ন মিউনিখের প্রথম লেগের ম্যাচটা জমেনি। কে জানে, আগামী ১৩ মার্চ আলিয়েঞ্জ অ্যারেনায় ফিরতি লেগের জন্য সব রোমাঞ্চ তুলে রেখেছে কিনা দল দুটি!