২০১৫ সালটা ভুলতে দিবেন না মুস্তাফিজ

এক বছর আগে, অর্থাৎ ২০১৪ সালে ক্রিকেট মাঠে বাংলাদেশের অবস্থাটা নিশ্চয় মনে আছে আপনার। আসলেই কি আছে? নাকি আপনি ভুলে গেলেই বরং খুশি হবেন! দ্বিতীয়টাই হয়তো সত্য। কারণ ২০১৪ সালে একের পর এক হারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলো বাংলাদেশ। সে তুলনায় একদম উল্টো গেলো ২০১৫ সালটা। নানা কারণে ক্রিকেটের এই বছর আপনি চাইলেও ভুলতে পারবেন না। একটি কারণ মুস্তাফিজুর রহমান। এই বছরেই বাংলাদেশ ক্রিকেটে তার আবির্ভাব। ২০১৫ সালটা কিছুতেই ভুলতে দিবেন না মুস্তাফিজ।

এ বছর পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তাকে মাঠে নামিয়ে দেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ওই ম্যাচে পাকিস্তানের দুই ভরসা শহিদ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ হাফিজের উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। তেমন আহামরি কিছু না করলেও, আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রথম ম্যাচেই আভাস দিয়েছিলেন অনেক কিছুর।

দেয়া আভাসটা মুস্তাফিজ বাস্তবে পরিণত করেন ওয়ানডে অভিষেকে। ভারতের বিপক্ষে ওই ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেন তিনি। তাসকিন আহমেদের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি বোলার হিসেবে ওয়ানডে অভিষেকে পাঁচ উইকেট তুলে নেয়াটা ছিলো বড় ঘটনা। সেটাও ভারতের মতো দলের বিপক্ষে।

মুস্তাফিজে মোহিত হয়ে থাকার শুরুটা হয়ে গিয়েছিলো ওই ম্যাচেই। পরের ম্যাচে আবার ছয় উইকেট! ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা মুস্তাফিজের সামনে দাঁড়িয়ে হয়ে বসেছিলেন বিভ্রান্ত। রোহিত শর্মা ও সুরেশ রায়নার মতো ব্যাটসম্যান তিন ম্যাচের প্রতিটিতেই মুস্তাফিজের বলে বিদায় নিয়েছেন। মুস্তাফিজ তার চমক ধরে রেখেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও।

মুস্তাফিজ তার স্বীকৃতি পেয়েছেন আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে জায়গা করে নিয়ে। পরে জনপ্রিয় ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার স্মরণীয় বোলিং পারফরম্যান্সেও এসেছে তার বোলিং। এ ছাড়া বিপিএলেও নিজের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন এই বাঁহাতি বিস্ময়।

২০১৫ সালটা দুই হাত ভরে দিয়েছে বাংলাদেশকে। কোনো সন্দেহ নেই- এর পিছনে মুস্তাফিজের অবদান অনেক। বিশেষ করে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জয় এসেছে প্রায় তার একার হাত ধরেই। ২০১৫ সালের একের পর এক সাফল্যের কারণেই, কয়েক বছর ঠিকই এ বছরের কথা আপনি মনে করতে পারবেন। মুস্তাফিজের উঠে আসা এবং তার অনন্য পারফর্মও ভুলতে দিবে না ২০১৫ সালকে।

আপনি আরো পড়তে পারেন

এশিয়া কাপ তো বিপদেই ফেলো দিলো বাংলাদেশকে!

জিম্বাবুয়েকে নতুন প্রস্তাব দিলো বাংলাদেশ

যুব বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দল ঘোষণা: অধিনায়ক মিরাজ