হঠাৎ পাকিস্তানে মোদি, পারস্পরিক সম্পর্কে নতুন রসায়ন

কোনো পূর্ব ঘোষণা ছিলো না। ছিলো না আভাসও। তারপরও হঠাৎ করে পাকিস্তানে গিয়ে হাজির হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আফগানিস্তান থেকে সরাসরি লাহোরে গিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নেওয়াজ শরীফের সাথে বৈঠকও করেছেন।

ধারণা করা হচ্ছে, নেওয়াজ শরীফের জন্মদিন উপলক্ষ্যেই সেখানে হঠাৎ পাকিস্তানে উড়ে গেছেন মোদি।

মোদির এমন হঠাৎ পাকিস্তান যাওয়াই দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের রাজনীতি বিশেষজ্ঞদের নতুন করে ভাবিয়ে তুলেছে। ভারত- পাকিস্তানের শীতল সম্পর্কের বরফ গলে যাচ্ছে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অনেকে।

ভারতের কোনো প্রধানমন্ত্রীর এভাবে হঠাৎ পাকিস্তান সফরকে দেখা হচ্ছে দারুণ সম্ভাবনাময় হিসেবে। গত এক দশকে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। সর্বশেষ ১১ বছর আগে অটল বিহারি বাজপেয়ি একবার এভাবে পাকিস্তান গিয়েছিলেন।

নরেন্দ্র মোদি ও নেওয়াজ শরীফের সর্বশেষ সাক্ষাৎ হয়েছিলো বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে। প্যারিসে অনুষ্ঠিত হয়েছিলো সম্মেলনটি।

প্রতিবেশি দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক এটাই প্রথম নয়। গত কয়েক মাসে এ ধরনের বৈঠক আরো হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের এ বৈঠককে মনে করা হচ্ছে অন্য যে কোনো বৈঠকের তুলনায় বেশি তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে।

দুই দেশের সম্পর্কের শীতল পরিস্থিতির অন্যতম কারণ আফগানিস্তানে প্রভাব বিস্তার নিয়ে। সম্প্রতি আফগানিস্তানকে নানা ক্ষেত্রে বিপুল অর্থা সহায়তা দিচ্ছে ভারত। এমন কি আফগানিস্তানের নতুন পার্লামেন্ট ভবন নির্মিত হয়েছে ভারতের দেয়া সাহায্য থেকেই।

ভারত মনে করছে, আফগানিস্তানের তাদের এই প্রভাব ভালো চোখে দেখছে না পাকিস্তান। এ কারণে পাকিস্তান আফগানিস্তানের সরকার বিদ্রোহীদের সহায়তা করছে। পাকিস্তান অবশ্য এ ধরনের সন্দেহ ও অভিযোগককে বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে।

মোদির পাকিস্তান সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্কে নতুন রকম উষ্ণতার দিকে যাবে বলেই প্রত্যাশা করছেন রাজনীতি বিশেষজ্ঞরা। শেষ পর্যন্ত সেটা হলে লাভবান হবে দক্ষিণ এশিয়াই।

আপনি আরো পড়তে পারেন

কী আছে মালয়েশিয়ার শরিয়াহভিত্তিক বিমানে?

রাশিয়ার জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা করেছেন মোদি!

গাজা বৈধ হলো কলম্বিয়ায়