মেসি জাদুতে বিধ্বস্ত ম্যানইউর বিদায়

ইংলিশ ক্লাবগুলোর মধ্যে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে এতদিন কম গোল ছিল লিওনেল মেসির। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথম লেগের ম্যাচেও গোল পাননি আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। উল্টো মাঠে রক্তাক্ত হতে হয়েছিল তাকে। জবাবটা ন্যু ক্যাম্পে ফিরতি লেগেই দিলেন মেসি।

মঙ্গলবার রাতে আর্জেন্টিনা অধিনায়ক করেছেন দুই গোল। তার দুর্দান্ত প্যারম্যান্সের সুবাদে দ্বিতীয় লেগে ম্যানইউকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বার্সেলোনা। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-০ গোলে জিতে সেমিতে উঠে গেল কাতালান ক্লাবটি। অন্যদিকে প্যারিসের অনুপ্রেরণা কাজে আসেনি ম্যানইউর। কাল হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে তারা।

শেষ ষোলোতে প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ২-০ গোলে পিএসজির কাছে হেরেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। প্যারিসে ফিরতি লেগে ৩-১ গোলের রূপকথার জয়ে ইতিহাস গড়ে রেড ডেভিলসরা। কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগেও তেমনকিছুর স্বপ্ন ছিল ইংলিশ জায়ান্টদের। কিন্তু রূপকথা প্রতিদিন হয় না; বার্সার দুর্গে গিয়ে সেই বাস্তবতাটাই বুঝল ম্যানইউ।

স্বপ্ন বাঁচাতে ২-১ গোলের জয় দরকার ছিল ওলে গানার সুলশারের দলের। কিন্তু দুই গোল তো দূরের কথা, একটিও করতে পারেনি ম্যানইউ। উল্টো মেসির পাঁচ মিনিটের জাদুতে দিশেহারা হয়ে পড়ে তারা। ১৬ মিনিটে গোল করে বার্সাকে এগিয়ে দেন অধিনায়ক। একটু পরই ম্যানইউর রক্ষণের ভুলে মেসি করেন চ্যাম্পিয়নস লিগ ক্যারিয়ারের ১১০তম গোল (২-০)।

ম্যাচটা কার্যত শেষ হয়ে গেছে ওখানেই। ম্যানইউ অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন করতে পারে কিনা সেটাই দেখার ছিল। অলৌকিক কিছু হয়নি। বরং দ্বিতীয়ার্ধে আরেকটি গোল হজম করে বিধ্বস্ত হলো ইংলিশ জায়ান্টরা। ৬১ মিনিটে তাদের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ফিলিপ্পে কুতিনহো।

ম্যাচের শুরুটা অবশ্য অন্যরকম ছিল। বার্সাকে চেপে ধরে ম্যানইউ। প্রথম মিনিটে হয়তো গোলও পেতে পারতো তারা। কিন্তু ফুটবলবিধাতা নিরাশ করেছে তাদের। দর্শকরা আরাম করে বসার আগেই যে মার্কাস রাশফোর্ডের চিপ শট বার্সার ক্রসবারে লেগে ফিরে এসেছে! শুরুর তোপ সামলে ঘুরে দাঁড়ায় বার্সা। সর্বস্ব নিয়ে ম্যানইউর রক্ষণে ঝাঁপিয়ে পড়ে মেসির নেতৃত্বাধীন আক্রমণভাগ। সেই ঝড়ে স্রেফ খড়কুটোর মতো উড়ে গেছেন পগবা-রাশফোর্ড-স্ম্যালিংরা।