সেসব কী পোড়াচ্ছে নাসিরকে?

বর্তমানে ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো। আয়ারল্যান্ড থেকে বিশ্বকাপ এবং এরপরই শ্রীলঙ্কায় গিয়ে সিরিজ খেলা। এদিকে আফগানিস্তান ‘এ’ দল দেশের মাটিতে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সঙ্গে সিরিজ খেলে গেল। বিসিবি একাদশও বিসিসিআইয়ের আমন্ত্রণে ভারত সফর করে আসলো। এমনকি অনুর্ধ্ব-১৯ দল ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলছে ইংল্যান্ডে। কিন্তু খেলার এতো ব্যস্ততার মধ্যেও কোথাও নেই নাসির।

দেশের কোনো দলেই ২৭ বছর বয়সী অলরাউন্ডারকে সুযোগ দেয়নি বিসিবি। এমন নয় যে নাসির ইনজুরির মধ্যে আছেন। হাঁটুর সার্জারির ধকল কাটিয়ে ফিরেছিলেন গত বিপিএলেই। ফর্মটাও যে খুব খারাপ তাও নয়। বিপিএলে সফল হতে না পারলেও গত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের হয়ে ১৬ ম্যাচে ৪৪০ রান করার পাশাপাশি বল হাতে নিয়েছেন ১০ উইকেট। তারপরও বিসিবির চিন্তায় নেই বাংলাদেশের হয়ে একশ’র বেশি ম্যাচ খেলে ফেলা নাসির হোসেন।

হয়তো তার অতীত বিতর্ককেই বাধা মনে করছে বিসিবি। মাঠের বাইরের বিষয়ে বারবার বিতর্কিত হয়েছেন তরুণ ক্রিকেটার। বিষয়গুলো কী পোড়াচ্ছে নাসিরকে? ২৭ বছর বয়সী ক্রিকেটার বললেন, ‘আফসোস বলতে... দেখেন যে ক্রিকেটার একবার জাতীয় দলে খেলে সে বাইরে থাকলে আফসোস হবেই। যখন খেলা দেখি বা অন্য সময়ে একটু তো খারাপ লাগবেই।’

কোন দলেই সুযোগ না পাওয়ার বিষয়ে নাসির বলেন, ‘এটা নিয়ে কিছু বলার নেই। হয়তো আমার চেয়ে ভালো খেলোয়াড় আছে। তাই নির্বাচকরা আমাকে ডাকেন নি। ’

নাসির জানালেন আপাতত ফিটনেস বাড়ানোর দিকেই মনোযোগ দিচ্ছেন তিনি। ফিট হয়ে পারফর্ম করে তবেই দলে ফিরতে পারবেন বলে বিশ্বাস, ‘আমি হয়তো শতভাগ ফিট ছিলাম না। আমাকে না রাখার পেছনে এটাও কারণ হতে পারে। বিশ্বাস করি, ফিট হয়ে পারফর্ম করে আগের জায়গায় থাকব। আমাকে ফিট হতে হবে। কারণ শতভাগ ফিট ছিলাম না বিপিএল এবং প্রিমিয়ার লিগ খেলার সময়। চেষ্টা করছি শতভাগ ফিট হয়ে যেন ঈদের পর জাতীয় লিগ খেলতে পারি।’

নাসির আরো বলেন, ‘একজন খেলোয়াড়ের ছন্দে ফিরতে খুব বেশিদিন লাগে না। ছন্দ নিয়ে চিন্তা করছি না। একটা দুইটা ভালো ইনিংস বা রান করলেই ভালো ছন্দে ফিরে আসব। সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখন ফিটনেস অনেক ভালো। জাতীয় লিগে হয়ত আরও ভালো অবস্থায় থাকব। চেষ্টা করব ভালো খেলার।’ নাসির ভক্তরাও নিশ্চয় সেটাই চাইবেন।