জয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশও

আফগানিস্তানের প্রথম ইনিংস বাংলাদেশ থামিয়েছে ৩৪২ রানে। জবাব দিতে নেমে ৮৮ রানের মধ্যে পাঁচ এবং ১০৪ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে বসেছিল বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবেই ফলোঅনের শঙ্কায় পড়েছিল টাইগাররা। বড় ধরনের লজ্জা এড়াতে তখনো ৩৯ রান দরকার ছিল সাকিবদের। শেষ পর্যন্ত মমিনুল হক ও লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের সৌজন্যে ফলোঅন এড়িয়েছে বাংলাদেশ।

ফলোঅনের দুশ্চিন্তা না করলেও ভাবনাটা ঠিকই ঢুকেছিল দলের মধ্যে। আজ দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেছেন, ‘এভাবে আসলে চিন্তা করিনি। যখন চার পাঁচ রান দরকার ছিল তখন তিন উইকেট ছিল। ক্রিকেটে সবকিছু সম্ভব। তাই আমরা সবকিছুর জন্যই প্রস্তুত থাকি।’

ফলোঅনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হয়নি শেষ পর্যন্ত। তবে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম টেস্টে অনেক বড় চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। কারণ প্রথম ইনিংসে এখনো আফগানিস্তানের চেয়ে ১৪৮ রান পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। আজ শেষ বিকেলে মোসাদ্দেক হোসেন ও তাইজুল ইসলামের ৪৮ রানে থাকা অবিচ্ছেদ্য জুটি থেকে আরো অনেক রান আশা করছেন সাকিব।

বাংলাদেশ অধিনায়ক আশাবাদী কালকের প্রথম সেশনটা কাটিয়ে দিতে পারলে ভালোভাবেই ম্যাচে ফিরে আসবেন তারা। সাকিব বলেছেন, ‘আমি আশা করব যেন এই দুই উইকেট অন্তত এক সেশন ব্যাটিং করে। যদি সেটা হয় তাহলে রান (ব্যবধান) অনেক কমে আসবে। ৭০-৮০ (রান) পর্যন্তও যদি আমরা আনতে পারি সেটা আমাদের জন্য অনেক বড় সুবিধা হবে।’

কাজটা অবশ্যই কঠিন। তবে হাল ছাড়ছেন না সাকিব। এই চ্যালেঞ্জ উতরাতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক। স্বপ্ন দেখছেন চট্টগ্রাম টেস্ট জয়ের। সাকিব বলেছেন, ‘এটা অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ হবে। তবে যেভাবে ব্যাটিং করেছে আমি বিশ্বাস রাখতেই পারি। এরপর খুব ভালো বোলিং করতে হবে। এভাবে পিছিয়ে থাকার পরেও ভালোভাবে ফিরেছে ক্রিকেটে এমন উদাহরণ অনেক আছে।’

সাকিব আরো বলেছেন, ‘মোসাদ্দেক আর তাইজুল যেভাবে ব্যাটিং করল তাতে পরিকল্পনা করাও সম্ভব এবং ওরা প্রমাণ করেছে। আমরা আরো ভালো করলে হয়তো রানটা আরেকটু বড় হতো। এখান থেকে অবশ্যই ম্যাচ জেতা সম্ভব। আমরা এমনকিছুর আশা করছি। এই দুই উইকেটে যদি আরেকটু এগোতে পারি এবং ভালো বোলিং করি তাহলে...। এটা ঠিক ওদের স্পিনারদের বিরুদ্ধে রান তাড়া করা সহজ হবে না। তবে আমার বিশ্বাস- আমাদের ভেতরে আছে যে, জেতা সম্ভব।’