প্রযুক্তিবিদদের স্বপ্ন সত্যি করে অবশেষ উদ্ভাবিত হলো দ্রুত গতির সুপার কম্পিউটার 'কোয়ান্টাম'। এ ধরনের কম্পিউটার আবিষ্কারের মাধ্যমে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং গবেষণায় বিশাল এক সাফল্য নিয়ে এসেছেন গুগলের বিজ্ঞানী ও টেকনিশিয়ানরা।

google ceoগুগলের প্রধান নির্বাহী সুন্দর পিচাই

সম্প্রতি ব্রিটিশ জার্নাল 'নেচার' এ প্রকাশিত এক গবেষণা প্রবন্ধে গুগলের এআই কোয়ান্টাম গবেষকরা জানান, তারা ৫৪ কিউবিটের 'সিকামোর' প্রসেসর সংযুক্ত কোয়ান্টাম কম্পিউটার আবিষ্কারে সক্ষম হয়েছেন। এ কম্পিউটারটি একটি জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধান মাত্র ২০০ সেকেন্ডের (তিন মিনিটের একটু বেশি সময়) মধ্যে বের করতে সক্ষম হয়েছে। যা বর্তমানে প্রচলিত দ্রুত গতির কম্পিউটারগুলোর গণণা করতে সময় প্রয়োজন হতো ১০ হাজার বছর।

কোয়ান্টাম কম্পিউটার আবিষ্কারের এ অর্জনকে গবেষকরা কোয়ান্টাম সুপ্রিমেসি হিসেবে মনে করছেন। কোয়ান্টাম সুপ্রিমেসি বলতে প্রচলিত কম্পিউটারের ক্ষমতাকে ছাড়িয়ে যাওয়াকে বুঝিয়েছেন তারা। অর্থাৎ যে সমস্যার সমাধান বের করতে সাধারণ কম্পিউটারের আয়ু শেষ হয়ে যাবে, সে সমস্যার সমাধান স্বল্প সময়ের মধ্যে বের করে দিবে কোয়ান্টাম কম্পিউটার। বিশেষ এই কম্পিউটারের এককের নাম দেয়া হয়েছে কিউবিট।

গুগলের এই এআই কোয়ান্টাম গবেষণা দলে কাজ করেছেন বিজ্ঞানী চার্লস নিল, অ্যান্টনি ম্যাগগ্রেন্ট, পেডরাম রওশান ও জন মার্টিনিস। বর্তমানের প্রচলিত দ্রুত গতির কম্পিউটারকে আরো কয়েকগুন গতিশীল ও ক্ষমতাসম্পন্ন করতে গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে গবেষকরা কোয়ান্টাম কাম্পিউটার নিয়ে কাজ করছেন। তবে এ ধরণের কম্পিউটার ব্যবহার শুরু হতে আরো এক যুগ সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

তারা আরো জানান, এ কম্পিউটার সিস্টেমের ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে আরো উন্নত অগমেন্টেড রিয়েলিটি, মেশিন লার্নিং, ইন্টারনেট অব থিংস ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন কম্পিউটার তৈরি করা যাবে।

Stay ahead of the curve with the latest news and insights on technology, mobile computing, laptops, and outer space. Our team of expert writers brings you in-depth analysis of the latest trends and breakthroughs, along with hands-on reviews of the newest gadgets and devices. From the latest smartphones to the mysteries of the cosmos, we've got you covered.