নতুন বছরে রোনালদোর যতো চ্যালেঞ্জ

২০১৯ সালে ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের বড় কোনো স্বীকৃতি পাননি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। স্বাভাবিকভাবেই সদ্য বিদায়ী বছরটা ভুলে যেতে চাইবেন পর্তুগিজ যুবরাজ। গেল বছরের দুঃস্মৃতির ক্ষতে প্রলেপ দিতে এ বছর মরিয়া হয়েই মাঠে নামবেন পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার। নতুন বছরে জুভেন্টাস উইঙ্গারের সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ আছে এক নজরে সেসব দেখে নেওয়া যাক।

সর্বোচ্চ ইউরোপিয়ান কাপ (চ্যাম্পিয়নস লিগ) জয়ের হাতছানি: উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের পাঁচটি শিরোপা জিতেছেন রোনালদো। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে প্রথমটা জয়ের পর রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে আরো চারটি। এ বছর জুভেন্টাসের হয়ে ষষ্ঠ রুপালি ট্রফিটা জয়ের স্বপ্নে বিভোর হয়ে থাকবেন পর্তুগিজ তারকা। তার সামনে এখন রিয়াল মাদ্রিদ কিংবদন্তি ফ্র্যান্সিসকো গেন্টোকোর রেকর্ড (সর্বোচ্চ) ট্রফি জয়ের হাতছানি।

ইউরো বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলের সুযোগ: চারটি ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ খেলে রোনালদো গোল করেছেন মাত্র নয়টি। তাতেই তিনি ভাগ বসিয়েছেন ইউরো বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোল করা মিশেল প্লাতিনির রেকর্ডে। এ বছর ইউরোর বড় মঞ্চে জালের ঠিকানা খুঁজে নিলেই ফরাসি কিংবদন্তিকে টপকে নতুন রেকর্ড গড়তে পারবেন রোনালদো।

চ্যাম্পিয়নস লিগে রেকর্ড হ্যাটট্রিকের হাতছানি: উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে লিওনেল মেসি এবং রোনালদো দুজনই সমান আটটি করে হ্যাটট্রিক করেছেন। আর একটি হ্যাটট্রিক করলেই পর্তুগিজ যুবরাজ পেছনে ফেলবেন বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে। একইভাবে মেসিরও সুযোগ থাকছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে টপকে নতুন ইতিহাস গড়ার।

তিন লিগে সর্বোচ্চ গোলের হাতছানি: ইতিহাসের প্রথম ফুটবলার হিসেবে রোনালদোকে হাতছানি দিচ্ছে ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় তিনটি আলাদা লিগে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ও রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে লা লিগায় এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলদাতা আগেই হয়েছেন।

এবার জুভেন্টাসের হয়ে সিরি’এ লিগে এই কীর্তি গড়ার হাতছানি দিচ্ছে রোনালদোকে। গোল্ডেন বুট জয়ের লড়াইয়ে আপাতত চারে আছেন রোনালদো (১০ গোল)। তার সামনে আছেন হোয়াও পেদ্রো (১১), রোমেলু লুকাকু (১২) ও সিরো ইম্বোলি (১৭)।

আন্তর্জাতিক ম্যাচে সর্বোচ্চ গোল: আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশি গোল ইরানের কিংবদন্তি আলি দাইয়ের। অবসরে যাওয়ার আগে দেশের হয়ে ১০৯টি গোল করেছেন এই ফরওয়ার্ড। তার চেয়ে ১০ গোল পিছিয়ে দুইয়ে আছেন রোনালদো। এ বছর পর্তুগাল অধিনায়কের সুযোগ আছে আলিকে ফেলে নতুন রেকর্ড গড়ার।