বার্সেলোনায় গৃহবিবাদ, বড় দুঃসংবাদের শঙ্কা

বার্সেলোনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি ও ক্লাবটির ক্রীড়া পরিচালক এরিক আবিদালের কথার লড়াই এখন স্প্যানিশ ফুটবলের ‘হট টপিক’। কাতালান রেডিও রেস-ওয়ান বলছে, বিষয়টি যাতে বেশি দূর না গড়ায় সে লক্ষ্যে আবিদালকে জরুরি তলব করেছেন বার্সেলোনা সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তেমেউ।

আবিদালের সঙ্গে মেসির দ্বন্দ্ব বেশি দূর এগুলে ক্লাবকে যে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে তা সহজেই উপলব্ধি করতে পারছেন বার্সা সভাপতি। ফলে তড়িঘড়ি করে নিজের ব্যবসায়িক সফর শেষ করে বার্সেলোনায় ফিরেছেন তিনি।

কদিন আগে বার্সেলোনার সাবেক কোচ এরনাস্তো ভারলার্দের সমালোচনা করতে গিয়ে আবিদাল বলেন, ভালভার্দের সময় কয়েকজন খেলোয়াড়ও ঠিকমতো পারফর্ম করেননি। এই মন্তব্য ভালো লাগেনি বার্সা অধিনায়ক লিওনেল মেসির। কড়া সমালোচনা করে পারফর্ম না করা খেলোয়াড়দের নামের তালিকা প্রকাশের দাবি করেন তিনি। তা না করা হলে সব খেলোয়াড়কে কলঙ্কিত করা হলো বলে যুক্তি দেন আর্জেন্টাইন তারকা।

এদিকে, মেসির এমন অবস্থানে অনেকে হতভম্ব। মেসির কাঁধে চড়ে গত কয়েক যুগে নিজেদের অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে বার্সেলোনা। গত কয়েক যুগ ধরে বার্সেলোনা আর মেসি অনেকটা অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। হঠাৎ সেই লোকটি প্রকাশ্যে যখন ক্লাবের কোনো শীর্ষ কর্মকর্তার বিপক্ষে রাগ ঝাড়ছেন তখন বিস্মিত অনেকে।

আবিদালের মন্তব্যের বিপক্ষে মেসির মন্তব্যে অবশ্যই বার্সেলোনার ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মেসির এই চরিত্র একেবারেই অপরিচিত। ফলে ফিঁসফাঁস উঠছে, তবে কী বার্সা ছাড়ার চিন্তা শুরু করে দিয়েছেন মেসি? আর্জেন্টিনার মহা-তারকা কী বার্সার প্রতি অসন্তুষ্ট!

বার্সার সাবেক খেলোয়াড় হোসে লোবো কারাস্কো অন্তত তেমনটাই মনে করছেন। কাতালান ক্লাবটির হয়ে ১১ মৌসুম খেলা কারাস্কো বলেন, ‘আমি এতো বছর ধরে তার (মেসি) খেলা দেখে আসছি এবং তার খেলা ভালোবেসেছি। আমার এই প্রথম মনে হচ্ছে যে, এইবার বুঝি মেসি তার একটা পা বার্সেলোনার বাইরে রাখতে যাচ্ছে। অতীতে কখনোই আমি তাকে এমন অবস্থায় দেখিনি!’