এই জুবায়েরকেই বসিয়ে রেখেছিলো আবাহনী!

৩৬ রানে ছয় উইকেট নেয়া সব সময়ই বিশাল বড় ব্যাপার। সেটা ওয়ানডেতে হোক, টেস্টে হোক বা ক্রিকেটের অন্য কোনো ফরম্যাটেই হোক। এই বড় ব্যাপারটা আরো বড় হয়ে যায়, যখন প্রবল চাপের মুখে কোনো বোলার প্রায় অনায়াসে অর্জনটা নিজের করে নেন।

জুবায়ের হোসেন লিখন ঠিক তাই করলেন। গত বছর ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে প্রায় পুরোটা সময় তাকে থাকতে হয়েছে ড্রেসিংরুমে। লিগে মাত্র একটা ম্যাচে তাকে মাঠে নামিয়েছিলো আবাহনী। এ ছাড়া পুরোটা সময় তাকে বসিয়ে রেখেছিলো তারা।

কিন্তু এবার জুবায়েরকে সুযোগ দেয়া হলো লিগের প্রথম ম্যাচেই। সুযোগ পেয়ে তা দুর্দান্ত দক্ষতায় কাজে লাগালেন এই লেগ স্পিনার। ৩৬ রান দিয়ে তুলে নিলেন মাশরাফির দল কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের ছয় ছয়টি উইকেট। তার এমন বোলিংয়ে মাত্র ১৪০ রানে গুটিয়ে যায় মাশরাফির কলাবাগান ক্রীড়াচক্র। পরে সাত উইকেট হাতে রেখে জিতে তামিম ইকবালের দল আবাহনী।

দারুণ এমন পারফর্মের পর স্বভাবতই খুশি জুবায়ের। বিশেষ করে গত মৌসুমের ‘অবহেলার’ জবাব দেয়াটা তার জন্য নিঃসন্দেহে স্বস্তিদায়ক ব্যাপার।

ম্যাচ শেষে জুবায়ের বলেন, ‘আমি কিন্তু সব সময়ই এমন বোলিং করতে চাই। ঘরোয়া ক্রিকেটে বলতে গেলে সেভাবে সুযোগই পাইনি। আজ সুযোগ পেয়ে তা কাজে লাগাতে পেরে ভালো লাগছে। সব সময়ই আসলে নিজেকে প্রমাণ করতে হয়। আমি সেটাই করতে চাই। ভবিষ্যতে যখন যেখানে সুযোগ পাবো, এভাবেই বোলিং করে যাওয়ার চেষ্টা করবো।’

জাতীয় দলে সব সময় তাকে বিবেচনা করা হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে তাকে কেনো বসিয়ে রাখা হয়, এটা ছিলো এক রহস্যময় ব্যাপার। এমন পরিস্থিতিতে যে কোনো বোলার তার আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলবে। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু জুবায়ের আত্মবিশ্বাস হারাননি। উল্টো জাতীয় দলের কোচ ও সিনিয়র সতীর্থরা তাকে দিয়েছেন শক্ত থাকার দীক্ষা।

জুবায়ের বলেন, ‘হাথুরুসিংহে সব সময়ই আমাকে সাহস জুগিয়েছেন। এ ছাড়া সিনিয়ররাও আমাকে বলেছেন ইতিবাচক চিন্তা করতে। আমি সেভাবেই চিন্তা করেছি এবং পারফর্ম করার চেষ্টা করেছি।’ প্রথম ম্যাচেই সেরার পুরস্কার পাওয়া জুবায়ের স্বপ্ন দেখেন জাতীয় দলের সেরা একাদশে নিজের জায়গা পাকা করার এবং এই লিগের সেরা পাঁচ বোলারের মধ্যে আসতে চান তিনি।

আপনি আরো পড়তে পারেন

শুধু ওয়ার্নার নন, মুস্তাফিজের জন্য বাংলা শিখছেন লক্ষ্মণ ও মুডিও!

গেইল মেয়ের নাম রাখলেন 'ব্লাশ'!

সাব্বির চান চ্যাম্পিয়ন হতে

মুস্তাফিজ ইংরেজি বলেন না, তাই...