কেন কেঁদেছিলেন রোহিত-পত্নী?

ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পরিচিত ও আলোচিত মুখ ঋতিকা। তিনি বিধ্বংসী ওপেনার রোহিত শর্মার স্ত্রী। তাকে গ্যালারিতে রেখে অনেক রেকর্ড ও ইতিহাস গড়েছেন ভারতীয় ওপেনার। তন্মধ্যে অন্যতম ডাবল সেঞ্চুরির হ্যাটট্রিক। রোহিতের এমন কীর্তি গড়ার দিনে গ্যালারিতে অস্রু ঝরেছে ঋতিকার।

ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরি করা এখন অনেক ব্যাটসম্যানেরই স্বপ্ন। কেউ কেউ এই দুঃস্বপ্ন দেখতে সাহসও পান না! অথচ ভারতীয় ওপেনার রোহিত একটি নয়, দুটি নয়; তিনটি দ্বিশতক হাঁকিয়েছেন। যা তাকে বিশ্বের সব ব্যাটসম্যানের চেয়ে আলাদা করে ফেলেছে। ইতিহাস গড়ার দিনটা আবার রোহিত-ঋতিকা দম্পতির জন্য ছিল বিশেষ কিছুর উপলক্ষ্য।

২০১৭ সালে মোহালি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরির দিনটি ছিল রোহিতের বিবাহবার্ষিকীর। সেদিন বাইশ গজে দাঁড়িয়ে থেকে স্ত্রী ঋতিকাকে সম্ভাব্য সেরা উপহারই দিয়েছেন রোহিত। তার দ্বিশতকের মাহেন্দ্রক্ষণে মোহালি স্টেডিয়াম যখন কেঁপে উঠেছিল এর কিছুক্ষণ বাদেই টিভি ক্যামেরা খুঁজে নেয় গ্যালারিতে থাকা ঋতিকাকে।

ক্যামেরায় দেখা যায় আবেগে আনন্দ অস্রু ঝরছে তার চোখ বেয়ে। ওই মুহূর্তগুলোর ভিডিও পরবর্তীতে ছড়িয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অনেকেরই ধারণা ছিল বিবাহবার্ষিকীর দিনে রোহিতের কাছ থেকে দ্বিশতক উপহার পেয়ে আবেগে কেঁদেছিলেন ঋতিকা। আসলে তা নয়। তিন বছর পর ঋতিকার কান্নার নেপথ্য কারণ জানালেন রোহিত।

সতীর্থ শিখর ধাওয়ান ও মায়াঙ্ক আগারওয়ালের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ভিডিও আড্ডায় ভারতীয় ওপেনার বলেছেন, ‘দিনটি আমাদের জন্য বিশেষ ছিল। আপনারা দেখেছেন আমার স্ত্রী আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিল। আমি মাঠ থেকে সেরা উপহারটা দিয়েছি তাকে। আবেগ ছুঁয়ে যাওয়ারেই কথা। শুরুতে আমিও বুঝতে পারিনি কেন ও কেঁদেছিল।’

রোহিত যোগ করেন, ‘পরে ওকে আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম। তুমি কি কেঁদেছিলে? এরপরই ও আমাকে কান্নার কারণ বলেছে। ১৯৬তম রান নিতে গিয়ে আমি ডাইভ দিয়েছিলাম। হাতে ব্যথা-ও পেয়েছিলাম। ও ভেবেছিলাম আমার হাত ভেঙে বা মচকে গেছে। ও খুব চিন্তিত হয়ে পড়ে। এ কারণেই ও আবেগ ধরে রাখতে পারেনি।’