শুধু হিরোশিমা নয় নাগাসাকিতেও যাচ্ছেন ওবামা

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন মুলুকের ছোড়া পারমাণবিক বোমায় ক্ষত-বিক্ষত হয় জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহর। সেই ক্ষতে এবার কিছুটা প্রলেপ দিতে যাচ্ছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। প্রথমে ঘোষণা দিয়েছিলেন হিরোশিমায় যাবেন। পরে জানালেন শুধু হিরোশিমা নয় নাগাসাকিতেও যাবেন ওবামা। এটি বারাক ওবামার একটি ঐতিহাসিক সফর।

চলতি মাসের ২৬ মে জাপানে অনুষ্ঠিতব্য জি-সেভেন সম্মলনে যোগ দিবেন বারাক ওবামা। এরপর ২৭ মে এই দুই শহর পরিদর্শনে যাবেন বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিটি। হোয়াইট হাউসের বরাত দিয়ে এমনটি জানিয়েছে জাপানের মন্ত্রী পরিষদ সচিব ইয়াশিদা সূগা।

হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জর্জ আর্নেস্টও জানান, জাপান সফর সূচিতে হিরোশিমা এবং নাগাসাকি পরিদর্শনের বিষয়টি রয়েছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেন, ওবামার এই সিদ্ধান্ত ঐতিহাসিক।

আমেরিকার বোমা নিক্ষেপের প্রায় ৩৯ বছর পর ১৯৮৪ সালে জিমি কার্টার হিরোশিমা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তারপর ওবামাই হচ্ছেন দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট যার পা পড়তে যাচ্ছে হিরোশিমায়।

সর্বশেষ গত এপ্রিলের ১১ তারিখ জি-সেভেন রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকে যোগ দিতে জাপানে গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। বৈছকের ফাকে তিনি হিরোশিমা পরিদর্শন করেন। জন কেরির সফরটিও ঐতিহাসিক।

অনেকেই মনে করছেন, হিরোশিমা-নাগাসাকি পরিদর্শনকালে প্রায় ৬০ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কৃতকর্মের জন্য হয়তো ক্ষমা চাইবেন ওবামা। এ বিষয়ে হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জর্জ আর্নেস্ট বলেন, ক্ষত-বিক্ষত হিরোশিমা-নাগাসাকি পরিদর্শনকালে জাপানিরা মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য চাপ দিলে তা বড় ভুল হবে। আমরা চাই দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকুক।

তবে ক্ষমা না চাইলে আক্রান্ত ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে ওবামা ভাষণ দিবেন বলে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে। ২৭ মে বারাক ওবামা হিরোশিমার স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করবেন। এ সময় পারমাণবিক বোমায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে ভাষণও দেবেন। অতীত ভুলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বর্তমানে দুই দেশের মৈত্রী সম্পর্কের বিষয়গুলো তুলে ধরবেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ১৯৪৫ সালের ৬ অগাস্ট হিরোশিমায় প্রথম মার্কিন পারমানবিক বোমা আঘাত হানে। প্রাণ হারান ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ। তিন দিন পর আরো একটি বোমা আঘাত হানে নাগাসাকিতে। দ্বিতীয় এই বোমায় মারা যান ৭৪ হাজার মানুষ।

আপনি আরো পড়তে পারেন

নিজামীর ফাঁসি: বাংলাদেশ থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করলো তুরস্ক

অভিশংসনের মুখে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট দিলমা রুসেফ

ক্ষমা চাইলেন ডেভিড ক্যামেরন