ঠিক কী ঘটেছে মিশরের বিমানটির ভাগ্যে?

৬৬ জন যাত্রী নিয়ে ভূমধ্য সাগর পারি দেয়ার সময় রাডার থেকে হারিয়ে গেছে মিশরের একটি বিমান। প্যারিস থেকে কায়রো আসার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে নিমজ্জিত হয়েছে সাগরে। আসলে কী ঘটেছিলো বিমানটির ভাগ্যে?

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো ফ্রান্স, গ্রিস এবং মিশরের বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে যে খবরগুলো দিচ্ছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে নয়, বিমানটি খুব সম্ভবত সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছে।

এর কারণ হিসেবে একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, প্যারিসের আকাশ পথ শেষ করে মিশরে ঢোকার আগে গ্রীসের আকাশ পথে ছিলো বিমানটি। তখন গ্রীসের কর্মকর্তারা ওই বিমানের পাইলটের সঙ্গে কথা বলেন। তখনও সব কিছু ঠিকঠাক। বিমানটির পাইলট কোনো ধরনের সমস্যার কথা বলেননি।

কিন্তু এই যোগাযোগের মাত্র দুই মিনিট পরই বিমানটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সব ধরনের যোগাযোগ। পরে বিমানটির গতিপথ এবং নড়াচড়া বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঠিক আগে ডানে বায়ে বড় দুটি চক্কর খায় সেটি। মূলত এ কারণেই সন্ত্রাসবাদের শঙ্কাটা দেখা দিয়েছে।

চক্কর খাওয়ার আগ মুহূর্তে ৩৭ হাজার ফিট উঁচু দিয়ে উড়ছিলো বিমানটি। কিন্তু চক্করে সেটি নেমে আসে ১৫ হাজার ফিটে। এই সময়েই খুব সম্ভবত সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হয়ে যায়। খুব সম্ভবত এই সময়েই বিমানটির নিয়ন্ত্রণ পাইলটের হাতছাড়া হয়। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন সেটিই।

ঠিক যেখানে বিমানটি রাডার থেকে হারায়, তার নিচে ভূমধ্য সাগরের উপকূলে কিছু ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মিলেছে। প্রাথমিকভাবে তা নিখোঁজ বিমানেরই বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ দিকে মিশর, ফ্রান্স ও গ্রিস; এ তিন দেশ একযোগে বিশাল অনুসন্ধান অভিযানে নামছে।

গন্তব্যে পৌঁছানের মাত্র ১৫ মিনিট আগে হারিয়ে যাওয়া বিমানটির ধ্বংসাবশেষের সন্ধানে গ্রীসের কার্পাথোস দ্বীপকেই অনুসন্ধান অভিযানে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।

আপনি আরো পড়তে পারেন

যুক্তরাষ্ট্রের বিমান, থামিয়ে দিলো চীন

মিশরের নিখোঁজ বিমানটি বিধ্বস্ত

নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা: মমতার হাতেই পশ্চিমবঙ্গ

৫৯ জন যাত্রী নিয়ে মিশরের বিমান নিখোঁজ