ইরানের পাশে চীন-রাশিয়া

অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে ইরানের ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার পথে। আর সেটি নিয়ে আবারও তৎপর হয়ে উঠেছে ট্রাম্প প্রশাসন। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরো বাড়ানোর জন্য তারা জাতিসংঘের ওপর চাপ দিচ্ছে। তবে মার্কিনিদের প্রচেষ্টার বিরোধিতা করছে রাশিয়া ও চীন।

রাশিয়া, চীন ও ইরানের প্রেসিডেন্ট

ডয়েসে ভেলের খবরে বলা হয়, করোনাকালীন সংকটের মধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। মূলত অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে ইরানের ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর সময় ঘনিয়ে আসাতেই আবার সংঘাতের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আগামী ১৮ অক্টোবরের মধ্যে নিরাপত্তা পরিষদে বিষয়টির ফয়সালা হবার কথা রয়েছে।

এ বিষয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেলি ক্রাফট ইরানকে বিশ্বের এক নম্বর সন্ত্রাসের মদতদাতা দেশ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাবে চীন বা রাশিয়া বাধা দিলে তারাও সন্ত্রাসবাদের দোসর হয়ে যাবে। তাই মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির গুরুত্ব বিবেচনা করে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত প্রস্তাবে এই দুই দেশ বাধা দেবে না বলে আশা করছে যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে রাশিয়া ও চীন বিষয়টি নিয়ে হাত গুটিয়ে বসে নেই। দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত মাসে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও নিরাপত্তা পরিষদের উদ্দেশ্যে চিঠি লিখে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেছেন। ইরান সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন করতে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে প্রয়োজন নয়টি ভোট। কিন্তু এই দুই দেশ নিজস্ব ভেটো শক্তি প্রয়োগের ইঙ্গিত দিয়েছে।

জাতিসংঘ

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারাভিযানের অভিযোগ এনে বলেছেন, অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে ইরানের ওপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চাপানোর প্রচেষ্টার জন্য সব দেশের উচিত যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা করা। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইও সরাসরি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পক্ষে কথা বলেছেন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন করা সম্ভব না হলে ‘স্ন্যাপব্যাক’ প্রক্রিয়ার আশ্রয় নেবে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে ইরানের ওপর জাতিসংঘের যাবতীয় নিষেধাজ্ঞা আবার কার্যকর হবে।