ক্লাব ফুটবল ইতিহাসে অন্যতম সেরা কোচ পেপ গার্দিওলা। ঠান্ডা মেজাজি এই কোচকে বলা হয়ে থাকে মাটির মানুষ। কিন্তু তার সঙ্গে কাজ করা যে খুব সহজ ছিল তা নয়। স্প্যানিশ এই কোচের সঙ্গেও দ্বন্দ্ব ছিল কয়েকজন তারকা ফুটবলারের। যা হয়তো আপনাকে অবাক করতে পারে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক গুরু-শিষ্যের দ্বন্দ্বগুলো:

pep guardiola 2019

জো হার্ট: ম্যানচেস্টার সিটির গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলেন জো হার্ট। ক্লাবের কিংবদন্তি হয়ে উঠেছিলেন ইংলিশ এই গোলরক্ষক। কিন্তু স্প্যানিশ কোচের কিছু কৌশলগত বিষয়ের সঙ্গে নিজেকে মানাতে পারেননি হার্ট। তাকে শেষ পর্যন্ত ‘হার্ট’ করেছেন গার্দিওলা। ২০১৮ সালে বার্নলির কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয় ইংল্যান্ড গোলরক্ষককে। বার্নলি ঘুরে হার্ট এখন টটেনহাম হটস্পারে খেলছেন। তাকে বুকে টেনে নিয়েছেন গার্দিওলার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী কোচ হোসে মরিনহো।

মারিও গোটশে: বার্সেলোনাকে ট্রেবল জিতিয়ে গার্দিওলা যোগ দেন বায়ার্ন মিউনিখে। সেখানে ‘আসল’ ট্রফিই জিততে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। তার অধীনে তিন বছর খেলেও চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে পারেনি বাভারিয়ানরা। ওই ব্যর্থতা তো আছেই, বায়ার্নে তার কারণে একটা প্রতিভা অকালে ঝরে গেছে। বলা হচ্ছে মারিও গোটশের কথা। তার দুর্দান্ত গোলের ওপর দাঁড়িয়ে ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপ জিতেছিল জার্মানি।

গোটশেকে বলা হতো জার্মানির মেসি। কিন্তু গার্দিওলার অধীনে ভালো খেলতে পারেননি তিনি। অথচ গার্দিওলার প্রতিদ্বন্দ্বী কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের আবিষ্কার ছিলেন গোটশে। বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে থাকাকালীন জার্মান মিডফিল্ডারকে তৈরি করেছিলেন ক্লপ। ঠিক উল্টো অবস্থা হলো গার্দিওলার সঙ্গে কাজ করে। একটা পর্যায়ে স্প্যানিশ কোচের সঙ্গে মনমালিন্য দেখা দেয় গোটশের। একাদশে অনিয়মিত হয়ে পড়েন এই মিডফিল্ডার।

yaya toure and pep guardiola

স্যামুয়েল ইতো: আফ্রিকান কিংবদন্তি ফুটবলার স্যামুয়েল ইতো। বার্সেলোনায় দুই মৌসুম গার্দিওলার অধীনে খেলেছেন তিনি। কিন্তু ভালো করতে পারেননি ইতো। ২০০৮-০৯ মৌসুমে বার্সা যে প্রথমবার ট্রেবল জিতেছিল সেই সাফল্যের অন্যতম নায়ক ছিলেন ক্যামেরুনিয়ান স্ট্রাইকার। তার সঙ্গেই ঝামেলায় জড়ান গার্দিওলা। ক্ষোভে বার্সা ছেড়ে ইন্টার মিলানে চলে যান ইতো।

সেখানে মরিনহোর অধীনে ত্রিমুকুট জেতেন আফ্রিকান তারকা। এরচেয়ে দারুণভাবে গার্দিওলাকে জবাব দিতে পারতেন না ইতো। বার্সা ছাড়ার আগে তিনি গার্দিওলার ওপর ক্ষোভ ঝেরেছিলেন এভাবে, ‘পেপ গার্দিওলা তার সারাজীবন বার্সেলোনায় কাটাবেন। আমি যে কয়টা বছর বার্সায় কাটিয়েছি ওই সময় সে দলটাই বোঝেনি।’

ইয়াইয়া তোরে: পেপ গার্দিওলার অধীনে বার্সেলোনা ও ম্যানচেস্টার সিটি দুই ক্লাবেই খেলেছেন ইয়াইয়া তোরে। দুই জায়গাতেই স্প্যানিশ কোচের অধীনে ধুঁকতে হয়েছে আইভরি কোস্টের এই মিডফিন্ডারকে। জাভি হার্নান্দেজ ও আন্দ্রেস ইনয়েস্তার কারণে বার্সার একাদশে নিয়মিত হতে পারেনি তোরে।

zlatan ibrahimovic pep guardiola

পরে সিটিতে চলে যান তিনি। বিধিবাম এখানেও হাজির গার্দিওলা! একটা পর্যায়ে গার্দিওলার ওপর ক্ষোভ ঝেরে তোরে বলেছিলেন, ‘সে আমার প্রতি নিষ্ঠুর ছিল। তিনি কি এটা ইনিয়েস্তার সঙ্গে করতে পারতেন? আমি এটার কারণ বের করেছিলাম, তা হচ্ছে আমার শরীরের বর্ণ (কৃষ্ণাঙ্গ)। আমি প্রথম হতে পারিনি। বার্সার অন্য খেলোয়াড়রাও এই প্রশ্নটা করেছিল। সে আমাকে ঈর্ষা করতো, প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবতো।’

জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ: গার্দিওলার সঙ্গে সবচেয়ে বড় দ্বন্দ্বটা ছিল জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের সঙ্গে। দ্বন্দ্বের জের লিওনেল মেসি। তরুণ আর্জেন্টাইন তারকাকে ইব্রার পজিশনে খেলাতে চেয়েছিলেন গার্দিওলা। আর ইব্রাকে উইং-এ খেলানোর পরিকল্পনা করেন স্প্যানিশ কোচ। যদিও তার কৌশলের সঙ্গে একমত হতে পারেননি ইব্রা।

এরপর গুরু-শিষ্যের মধ্যে বিবাদ লেগে যায়। ২০০৯-১০ চ্যাম্পিয়নস লিগ মৌসুমের সেমিফাইনালে ইন্টার মিলানের কাছে হেরে যায় বার্সেলোনা। ওই হারটা ছিল কেবল গার্দিওলার ভুলের কারণেই। সেই ম্যাচ নিয়ে ইব্রা বলেছিলেন, ‘আমি চিৎকার করছিলাম। আপনি কোনো বলই পাবেন না এবং সেটাই হলো। আপনি (গার্দিওলা) জাহান্নামে যান। অনেককিছু বলেছিলাম গার্দিওলাকে। কিন্তু সে একটা কথাও বলেনি।’

Stay on top of the latest sports news, including cricket and football, from around the world. Get comprehensive coverage of matches, tournaments, and leagues— along with expert analysis and commentary from our team of sports journalists. Whether you're a die-hard fan or a casual observer, you'll find everything you need to know about your favorite sports here.

Sports, cricket, and football are popular topics in the world of sports. Cricket is a bat-and-ball game played between two teams of eleven players and is particularly popular in South Asian countries. Football, also known as soccer, is a team sport played with a spherical ball between two teams of eleven players and is widely popular worldwide. Sports enthusiasts follow the latest news, matches, tournaments, and leagues in these sports and analyze and comment on the performances of players and teams.