আফগানিস্তানে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের খনিজসম্পদ!

সন্ত্রাসবাদ দমনের নামে আফগানিস্তানের ওপর পশ্চিমাদের চাপিয়ে দেয়া বহুজাতিক যুদ্ধ চলছে দশকের পর দশক। এতে অর্থনীতি ধসে পড়ায় গরিব দেশের কাতারে রয়েছে দেশটি। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশ্বের খনিজ-সমৃদ্ধ দেশগুলোর অন্যতম হচ্ছে আফগানিস্তান।

আফগানিস্তানের খনিজ সম্পদ

ইউএস জিওলোজিক্যাল সার্ভের (ইউএসজিএস) প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির খনিজ সম্পদের মূল্য প্রায় এক ট্রিলিয়ন ডলার। এ বিষয়ে সম্প্রতি বিস্তারিত একটি লেখা প্রকাশ করেছে লাইভসায়েন্স ম্যাগাজিন।

তাতে বলা হয়, ২০০১ সালে তালেবানদের ক্ষমতা থেকে সরাতে আফগানিস্তানে হামলা চালায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী। ২০০৪ সালে তালেবানরা ক্ষমতা হারালে দেশটিতে খনিজ-সম্পদের খোঁজে নামে ইউএসজিএস।

মার্কিন গবেষকরা ২০০৬ সালে আফগানিস্তানে এসে সারা দেশে ম্যাগনেটিক, গ্র্যাভিটি ও হাইপারস্পেকট্রাল জরিপ পরিচালনা করেন। তাতে ৬০ মিলিয়ন টন তামা, ২ দশমিক ২ বিলিয়ন টন আকরিক লোহা ও ১ দশমিক ৪ মিলিয়ন টন দুর্লভ মাটি থাকার সম্ভাবনা দেখা যায়।

আফগানিস্তানের খনিজ সম্পদ

জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, বিপুল পরিমাণে অ্যালুমিনিয়াম, সোনা, রূপা, জিঙ্ক, পারদ ও লিথিয়াম থাকতে পারে। বিশেষ করে হেলমান্দ প্রদেশে ৮৯ বিলিয়ন ডলারের দুর্লভ মাটি-সমৃদ্ধ খানেশিন কার্বোনাইট রয়েছে।

ইউএসজিএসের এমন তথ্য দেয়ার পর মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স’স টাস্কফোর্স ফর বিজনেস অ্যান্ড স্ট্যাবিলিটি অপারেশন্স আফগানিস্তান পুনর্গঠনে হাত দেয়। তারা বলছে, দেশটিতে ৯০৮ বিলিয়ন ডলারের খনিজসম্পদ রয়েছে।

তবে আফগান সরকার জানায়, মজুদ খনিজসম্পদের মূল্য ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের চেয়েও বেশি। এ সম্পদ আহরণে চীনের মেটালুরজিক্যাল গ্রুপের সঙ্গে ৩০ বছর মেয়াদি ৩ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে দেশটি। সবচেয়ে বড় খনিজ আকরিক লোহা আহরণে ভারতের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ও কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়া হয়।