‘বিকল্প বাবরি মসজিদ’র নকশা প্রকাশ

ভারতের অযোধ্যার ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়েছে প্রায় ২৮ বছর আগে। তারপর নানা চড়াই-উতরাই শেষে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত মামলার রায় দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। রায়ে বাবরি মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণের অনুমতির পাশাপাশি বিকল্প একটি মসজিদ নির্মাণের কথা বলা হয়েছে। এবার সেই বিকল্প মসজিদের নকশা প্রকাশ করা হলো।

‘বিকল্প বাবরি মসজিদ’র নকশা

বহুল আলোচিত এই মসজিদ নির্মাণের দায়িত্ব পড়েছে ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের কাঁধে। এজন্য তাদেরকে পাঁচ একর জমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে ভেঙে ফেলা বাবরি মসজিদের ২৫ কিলোমিটার দূরে ধন্নিপুর গ্রামের একটি সরকারি কৃষি ফার্মে।

কেমন হবে আলোচিত এই মসজিদ, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার অন্ত নেই। প্রকাশ করা নকশায় দেখা গেছে, আধুনিক স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন হতে যাচ্ছে ‘বিকল্প বাবরি মসজিদ’। কাচে ঘেরা মসজিদটি যেন বিশাল একটা ডোম। বাইরে থেকে মসজিদের ভেতরের সবকিছু স্পষ্ট দেখা যায়। মসজিদের মাথায় বিশাল উঁচু একটা গম্বুজ, অবশ্য সেটা দেখতে সাধারণ মসজিদের গম্বুজের মতো নয়।

প্রস্তাবিত হাসপাতাল

ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র আতাহার হুসেন বলেন, মসজিদটি হবে সৌরশক্তি চালিত। ভেতরের তাপমাত্রা বাড়ানো-কমানোর সয়ংক্রিয় ব্যবস্থা থাকবে। মসজিদের সঙ্গে থাকবে পার্কি, থাকবে সমৃদ্ধ একটা বিশাল লাইব্রেরি। এছাড়া ঠিক আনুষ্ঠানিক জাদুঘর না হলেও একটি সংগ্রহশালা থাকবে এই কমপ্লেক্সের ভেতর।

মসজিদের সাথেই থাকবে ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট একটি আধুনিক হাসপাতাল, যেখানে মূলত গরীব-দুঃখী মানুষের জন্য বিনামূল্যে কিংবা স্বল্পমূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।

মসজিদের নাম কি ‘বাবরি মসজিদ’ই থাকবে? এমন প্রশ্নের জবাবে আতাহার হুসেন বলেন, নাম এখনো ঠিক করা হয়নি। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি এর পক্ষে নই। এমনকি আমি চাইনা, কোনো বাদশাহর নামে মসজিদটির নামকরণ করা হোক। তার পরিবর্তে এটা স্থানীয় অঞ্চলের নামানুসারেও হতে পারে।

তিনি আরো বলেন, এটা নিচক কোনো মসজিদ হবে না। এখানে ভারতীয় সংস্কৃতি ও ইসলামিক সংস্কৃতির মিলন, ভারতীয় সমাজের ওপর তার প্রভাবসহ নানা বিষয় নিয়ে গবেষণা হবে। নতুন এই স্থাপনাটি নির্মাণে স্থপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে দিল্লির ঐতিহ্যবাহী জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের ডিন অধ্যাপক এস এম আখতারকে।